দিঘা: খড়্গপুর সদরের বিজেপি (BJP) বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (BJP MLA Hiran Chatterjee) সঙ্গে গত কয়েকদিন আগেই মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে তাঁর একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা। যদিও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেননি হিরণ। এই বিতর্কের মধ্যেই এবার মন্তব্য করলেন রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, “অল্প দরজা খুলছে তাতেই হিরণের নাম শোনা গেল। আরও একটু ধৈর্য্য ধরুন দরজার বাইরে লাইন আছে বিধায়কদের।”
পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির ১৬তম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২২ ও ২৩ জানুয়ারি নিউ দিঘার দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিস ‘জাহাজ বাড়িতে’। এই সম্মেলনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় দেড় হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। এ দিনের সম্মেলন প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী ও রাজ্যের কারা ও সংশোধনাগার দফতরের মন্ত্রী অখিল গিরি। উপস্থিত ছিলেন দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ জানা-সহ বিশিষ্ট জন।
এ দিনের প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথি এসে ঘোষণা করেছিলেন একটু দরজা তা খুলবে। সেই মতো একটু দরজা খুলছে। তাতেই হিরণের নাম শোনা গেল। একটু ধৈর্য্য ধরুন দরজার বাইরে লাইন আছে। আগামী দিনে অনেকেই আসবে তৈরি হয়ে আছে। আমাদের দল দুর্নীতির সঙ্গে আপস করে না। দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতেই হবে। জমি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে যাঁরা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও দিঘা-সহ উপকূলীয় এলাকায় পর্ষদের আওতাধীন জায়গাতে কোনও ভাবে জমি জালিয়াতি হচ্ছে না। কারণ সরকারের নিয়মে লিজ দেওয়া হচ্ছে বিক্রি নয়।”
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দলিল লেখক সমিতির সম্পাদক ও এই ১৬তম রাজ্য সম্মেলন এর আবায়ক ও রাজ্য কমিটির সদস্য দীপক কুমার দাস বলেন, “সম্মেলনে দলিল লেখকদের সমস্যা ও আগামী দিনে সংগঠনকে মজবুত করা যায় সেই সব নিয়ে আলোচনা হবে। বর্তমানে যেসব জায়গায় দালাল চক্র গজিয়ে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়েও এই সম্মেলনে আলোচনা হয়।” দুই মন্ত্রী জানান, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির সঙ্গে আছেন। দলিল লেখকদের সমস্যা তাঁরা সরকারের কাছে তুলে ধরবেন বলে আশাবাদী।