পূর্ব মেদিনীপুর: রাস্তার ধারে রেস্তরাঁ। বাইরে থেকে দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ রেস্তরাঁর মতোই। দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই। কিন্তু অভিযোগ, সেই রেস্তরাঁর আড়ালে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ মদ ও জুয়ার কারবার। তিনটি ঘর নিয়ে এই অবৈধ কারবার চলছিল বলে অভিযোগ। এদিকে কাছেই একটি গার্লস স্কুল রয়েছে। প্রায় ৫০ মিটারের মধ্যে। সকাল-বিকেল পড়ুয়ারা যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। স্কুলের সামনে রাস্তার উপর মদের কারবার নিয়ে অনেকদিন ধরেই আপত্তি তুলছিলেন এলাকাবাসীরা। আজ তা চরমে পৌঁছায় পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানা এলাকার গোপীনাথপুরে। তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে যায়। অবৈধ মদের কারবারে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন এক ব্যক্তি। ধারাল অস্ত্র দিতে তাঁকে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। আর এদিকে ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের রোষের মুখে পড়ে রেস্তরাঁ। রেস্তরাঁর ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয় রেস্তরাঁ। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনকে এর আগে জানিয়েও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সুরাহা হয়নি। এমন অবস্থায় আজ এলাকায় ব্য়াপক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দোকানঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর দৃশ্য ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানে জমিয়ে রাখা একগাদা বিয়ারের বোতল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এর আগেও তাঁরা ওই দোকানের মালিককে মদের ব্যবসা বন্ধ রাখার জন্য। তাতে কর্ণপাত করেননি ওই রেস্তরাঁর মালিক। এরপর আজ পুনরায় অনুরোধ করা হয়, যাতে স্কুলের সময়টুকু মদের ব্যবসা বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না মালিক। শেষ পর্যন্ত তুমুল বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়ে যায় এবং ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে ঘটনার পর চণ্ডীপুর থানার পুলিশ ওই এলাকায় যায় এবং স্বতোঃপ্রণোদিত তদন্ত শুরু হয়েছে।