Marishda: ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা শিক্ষক জামিন পেয়ে গ্রামে ফিরতেই ‘গণধোলাই’

Kanishka Maity | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 23, 2024 | 9:06 PM

Purba Medinipur: কী অভিযোগ? জানা গিয়েছে, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ওই যুবক। নিজের স্কুলেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে ওই শিক্ষক বিবাহিত। ওই ছাত্রী তা জানার পর সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়াতে চায়। তা নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা।

Marishda: ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলা শিক্ষক জামিন পেয়ে গ্রামে ফিরতেই গণধোলাই
মারিশদা থানা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: পকসো মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রামে ঢুকতেই গণধোলাই গ্রামবাসীদের। জখম শিক্ষককে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার এক স্কুলে শিক্ষকতা করেন ওই ব্যক্তি। আদালত থেকে জামিন নিয়ে গ্রামে ফিরতেই ওই শিক্ষককে এলাকার লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ।

কী অভিযোগ? জানা গিয়েছে, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ওই যুবক। নিজের স্কুলেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে ওই শিক্ষক বিবাহিত। ওই ছাত্রী তা জানার পর সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়াতে চায়। তা নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা।

অভিযোগ, ওই শিক্ষক এই সম্পর্কে থাকতে চেয়ে ছাত্রী-সহ পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছিল। এরপরই ছাত্রীর পরিবারের তরফে মারিশদা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ গত ১ মার্চ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারও করে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সম্মানহানি ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। তৎকালীন শিক্ষকের দাবি ছিল, মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজত হয়।

পরে জামিন পেয়ে শনিবার স্কুলে যান অভিযুক্ত শিক্ষক। এদিকে গ্রামবাসীরা ওই শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এরপরই শিক্ষককে ঘিরে শুরু হয় গণপ্রহার। আহত শিক্ষককে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম শিক্ষক বলেন, “স্কুলের স্টাফরুম থেকে আমাকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। কোনও শিক্ষক আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন না। মারিশদা থানায় বিষয়টি জানিয়েছি। যারা আগে মিথ্যা মামলা করেছিল, তারাই আজ এসে মারধর করেছে।”

এ বিষয়ে মারিশদা থানার ওসি প্রলয় চন্দ্র বলেন, “এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। তা পেলে নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে।” তবে এ নিয়ে স্কুলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

Next Article