পূর্ব মেদিনীপুর: নাম করে অখিল গিরির বিরুদ্ধে সরব রামনগরের তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দল থেকে অবসর নিতে চান বলে জানিয়েছেন রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ খালেক কাজি। সোমবার রাজনীতি থেকে তাঁর অবসরের সিদ্ধান্তের কথা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জেলা সভাপতির মধ্যমে জানিয়েছেন বলেও জানান। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন থেকে তৃণমূল তৈরি করেছেন, সেদিন থেকে তিনি দলের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু এলাকার বিধায়ক অখিল গিরি যেভাবে রাজনীতি করছেন তাতে দল করা সম্ভব হচ্ছে না।
কর্মাধ্যক্ষ খালেক কাজির কথায়, “১৯৯৮ সাল থেকে আমি কর্মাধ্যক্ষ। আমি দল করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে। আমাদের বিধায়ক অখিল গিরি যতদিন রাজনীতি করছেন, আমিও ততদিন ধরেই রাজনীতি করছি। আমি আমার মতো রাজনীতি করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই রাজনীতিটা করি। আমি পদ ছাড়ছি না। তবে দল থেকে অবসর নিচ্ছি। আমার আবেদন জেলা সভাপতির মাধ্যমে রাজ্যের কাছে গিয়েছে। ওখান থেকে যা বলা হবে, সেই মতো চলব। একটা পরিবারে থাকলে মতানৈক্য হবেই। তবে অখিলবাবু যেভাবে রাজনীতি করছেন, সেখানে কেউ থাকতে পারে না। ওনার একটা তকমা আছে উনি দলের জন্মলগ্ন থেকে দল করছেন। ব্যস ওই তকমা নিয়ে সব জায়গায় ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।”
যদিও রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর বক্তব্য পেলে তা যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে। তবে রামনগর-১পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাইচরণ সার বলেন, “উনি দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতা। যথাযথ সম্মানও ওনাকে দেওয়া হয়। হয়ত কোথাও কিছু কারণে খারাপ লেগেছে, আমরা দেখছি। সাংগঠনিকভাবে আলোচনা করব।”
তবে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযূশ পণ্ডা জানান, “আমার কাছে উনি কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি। সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। বড় দল এটা। তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই কর্মীরা তাঁদের সমস্যার অভাব অভিযোগের কথা বলতে পারেন।” সব সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা হবে বলেও দাবি করেন।