হলদিয়া: আবারও খাপ পঞ্চায়েতের ছায়া হলদিয়াতে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি তৈরি করতে হলে দিতে হলে ৩ লক্ষ টাকা ও জমি, এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতা ও মোড়লদের। গোটা ঘটনার অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিধবা বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলে সহ পরিবারের বাকী সদস্যরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় হলদিয়া বিধানসভা কুকরাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিপুর গ্রামে। প্রশাসনকে জানালেও মেলেনি কোনও সুরহা দাবি অভিযোগকারীদের। এমনকী যে কোনও মুহূর্তে বাড়ি ভেঙে পড়ে প্রাণহানি ঘটনা ঘটতে পারে বলে এমনটাই আশঙ্কা করছে সেনগুপ্ত পরিবার।
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় হলদিয়া বিধানসভা কুকরাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামলী সেনগুপ্ত। ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি পান। বাড়ি পেলেও তৈরি করতে দিচ্ছে না এলাকার তৃণমূল নেতা ও মোড়ল বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, বাড়ি তৈরি করতে হলে তাদের ৩ ডেসিমেল জায়গা দিতে হবে, না হলে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। এমনই ফতেয়া জারি করেছেন এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্রীকান্ত মণ্ডল ও গ্রামের মোড়ল দীপক মণ্ডল বলে অভিযোগ। আর বাড়ি না তৈরি করতে পেরে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে সেই ভগ্ন বাড়িতে বসবাস করতে হচ্ছে ওই বিধবা বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলে সহ পরিবার। প্রশাসনকে জানিও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বাড়ি তৈরি করার জন্য প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে ঘুরে বেড়ালেও কোনও সুফল পায়নি। শুধু মিলেছে আশ্বাস। অবশেষে বাধ্য হয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে দারস্থ হলেন বছর ৭০ এর বুদ্ধা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বৃদ্ধা শ্যামলী সেনগুপ্তর ছেলে কৌশিক সেনগুপ্ত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছি। ২০২০ সালে মায়ের নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি এসেছিল। গ্রামের গুটিকয়েক লোক তথা মোড়ল বাড়ি তৈরি করতে দিচ্ছে না। বাড়ি তৈরি করতে হলে ৩ ডেসিমেল জায়গা দিতে হবে নচেৎ তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। প্রশাসনকে জানিও কোন মেলেনি সুরাহা।”
কুকরাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেফালী ভৌমিক বলেন, “বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়া চলছে। আইনের মাধ্যমে যদি কিছু হয় তাহলে প্রধান হিসেবে আমি সহযোগিতা করবো।দলের নেতারা টাকা চেয়েছে কি না সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।”
এলাকায় বিজেপি নেতার দাবি, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির জন্য গরীব মানুষদের দিচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু নেতৃত্বরা অর্থ কামানোর জন্যই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। সাহায্য করার নামে অর্থ কামানোর জন্য এমন কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যাতে বাড়ি তৈরি করতে পারে তা সহযোগিতা করা উচিত।”যদিও ওই অভিযুক্ত গ্রামের মোড়ল ও তৃণমূল নেতার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও, ওই অভিযুক্ত গ্রামের মোড়ল ও তৃণমূল নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।