পূর্ব মেদিনীপুর: ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যাচ্ছে। তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না ও তাঁর দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার স্ত্রী অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন। বোমা বিস্ফোরণের কারণ কী, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারাও এই ঘটনা নিয়ে একাধিক কথা বলছেন।
শনিবার সকাল থেকেই ভূপতিনগরের সেই বিস্ফোরণস্থলে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অত্যুৎসাহীরা সেই বাড়ির আশপাশেও গিয়েছেন। তবে ক্যামেরার সামনে অনেকেই মুখ খুলতে চাননি। কেউ বলেছেন, “আমি তো এখানকার লোক নই, এরকম একটা ঘটনা হয়েছে শুনে দেখতে এসেছি।” তবে এ সবের মধ্যেই রাজকুমার মান্না সম্পর্কেই বিস্ফোরক কথাবার্তা বলেছেন স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা। একজন বলেন, “শুনলাম হোগলা বনে পড়ে রয়েছে দেহটা। এলাকার দুষ্কৃতী ছেলেটি। আরও যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরাও এলাকার দুষ্কৃতী। এরা বোমা বন্দুক নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। মানুষকে রোজ পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে পেটায়। আজ ১২ বছর ধরে ৫০-৬০ বিঘা জমিতে এলাকার কেউ চাষ করতে পারে না। যদি কেউ প্রতিবাদ করতে যেত, তাদের ধরে পেটাত।” এলাকাবাসীদের একাংশের তরফে উঠছে মারাত্মক অভিযোগ।
তবে তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার মেয়ে বলেন, “আমার বাবা অনেক সময়েই অনেকের ভালো কাজ করেছে। কিন্তু এরকম একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাই সবাই এমন বলছে।” আপাতত এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে অর্জুননগরের নাড়ুয়াভিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সেখানে ছিলেন আরও চার জন। রাজকুমার-সহ বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুরও মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের বুথ সভাপতির স্ত্রীর। বাকি ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার সকালে এলাকার হোগলা বন থেকে একজনের ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর শরীরের চামড়া পুরোটাই ঝলসে গিয়েছে। তবে সেটি তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নারই দেহ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ২ জন, যাঁদেরকে মৃত বলেই দাবি করছেন তৃণমূল নেতার স্ত্রী, তাঁদের হদিশ মেলেনি।