পূর্ব মেদিনীপুর: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতন মানুষ আগে বাংলায় জন্মাননি। ওঁকে নোবেল দেওয়া উচিত।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নজিরবিহীন কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার সুশীল উৎসব ভবন থেকে কয়েকজন কর্মীদের নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তখনই সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি। এগরা হাসপাতাল মোড়ে চায়ে পে চর্চাতে যোগ দেন বিজেপি নেতা।
দিলীপ ঘোষ একাধিক ইস্যুতে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিম বাংলার গরিমা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দায়িত্ব নিয়ে শেষ করছেন। ওঁকে খুশি করতে নতুন পুরস্কার চালু করা হল। বাংলা আকাদেমিতে ওঁর সাঙ্গপাঙ্গ, চামচা-বেলচাদের বসিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত ট্যালেন্ট তা এই বাংলায় আগে জন্মায়নি। ওঁর এই পুরস্কারে হবে না নোবেল পাওয়া উচিৎ।” বাংলা আকাদেমির যে গরিমা ছিল, তা এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাংলার আইন শৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “জেলা-সহ রাজ্যের সর্বত্র চলছে নাম বন্দুকের খেলা। সর্বত্রই অরাজকতা চলছে। যতক্ষণ না তৃণমূলের ঝান্ডার তলায় মানুষ আসছে, ততক্ষণ বোমা বন্দুক নিয়ে খেলা চলছে।”
বাংলার আইন শৃঙ্খলা অবনতি প্রসঙ্গে একুশের নির্বাচনকে টেনে আনেন দিলীপ। তিনি আগেও এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছেন। দলীয় কর্মীদের মিথ্যা কেসে ফাঁসানোর অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন আবারও বলেন, “মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে আমাদের কর্মীদের। মহিলাদের মার্ডার কেস দেওয়া হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে, ঘর ছাড়া হচ্ছে তারা।” পাহাড়়ের রাজনৈতিক সমীকরণ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পাহাড় অশান্ত করেছেন মমতা নিজেই। জিটিএ করে কী লাভ হল? কোনও কাজ নেই, সেখানেও নিজের লোক বসানো নিয়ে লড়াই চলছে। পাহাড় ঠিক করা নিয়ে জিটিএ করে লাভ হয়নি।”
বুধবার ‘ভয় মুক্ত বাংলা ও হিংসা মুক্ত রাজনীতি’র দাবিতে বাঁকুড়ায় পদযাত্রা করছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কথা বলেন। তাতে বিতর্ক জড়ান দিলীপ। আলুর মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারকে চরম কটাক্ষ করেন দিলীপ।