চণ্ডীপুর: চণ্ডীপুর কাণ্ডে এবার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। শনিবারই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফরেন্সিক টিম। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সমগ্র ঘটনার তদন্তভার রবিবার থেকে হাতে নিল সিআইডি। গত ৪ মে চণ্ডীপুরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। অভিযোগ, শুভেন্দুর কনভয় যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাই নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘চণ্ডীপুরে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। কনভয়ের ধাক্কায় দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ এসেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছি। এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার চণ্ডীপুর পেট্রল পাম্পের কাছে রাস্তা পারাপার করছিলেন শেখ ইসরাফিল নামে ওই যুবক। সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রতিবাদে দিঘাগামী ১১৬বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা।
এরপর অবশ্য ওই কনভয়ের ড্রাইভার আনন্দকুমার পাণ্ডে আত্মসমর্পণ করেন চণ্ডীপুর থানায়। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। দুর্ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের চার জনকে নোটিস পাঠিয়েছে। বিরোধী দলনেতার দফতর সূত্রে দাবি, যে গাড়িটির বিরুদ্ধে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছে, সেটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি। সেই কারণেই সাধারণ গাড়ির তুলনায় সেটি বেশি ভারী। ওই গাড়ি কনভয়ের থেকে অন্তত দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলে।
তিন দিন পর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক টিম। রবিবার সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি।