ওল্ড দিঘা: সৈকতের ধারে রাস্তার ওপর অস্থায়ীভাবে পসরা সাজিয়ে বসা দোকানদারদের দাপটে বিপাকে পড়েছে স্থায়ী স্টলগুলি। তাই স্থায়ী স্টলের ব্যবসায়ীরা শেষ পর্যন্ত তাঁদের পসরা নিয়ে সৈকতে যাওয়ার রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানালেন। অস্থায়ী দোকানের রমরমার বিরুদ্ধেই সরব হলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্টলের স্থায়ী ব্যবসায়ীদের এই আন্দোলনের কারণে ওল্ড দিঘার রাস্তা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
স্থায়ী স্টলের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বর্তমানে সৈকতের পাশে শ’য়ে শ’য়ে অস্থায়ী দোকান গজিয়ে উঠেছে। তাই আগত পর্যটকরা স্থায়ী স্টলে না গিয়ে ওই অস্থায়ী দোকানগুলিতে কেনাকাটা করছেন। এর ফলে তাঁদের দোকানে বসে বসে কার্যত মাছি তাড়াতে হচ্ছে। দীর্ঘ তিন-চার বছর ধরে এই ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি। এর ফলে ব্যবসায় ব্যাপক মন্দা দেখা দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
এছাড়া প্রচুর অস্থায়ী ব্যবসায়ী পসরা সাজিয়ে বসার কারণে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে আর পর্যটকদের স্বাভাবিক যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।
স্থায়ী স্টল ব্যবসায়ীদের একটি কমিটিও রয়েছে। কমিটির সদস্যরা জানান, তাঁরা অনেক টাকা খরচ করে স্টল নিয়েছেন, কিন্তু ব্যাঙের ছাতার মতো প্রচুর অস্থায়ী দোকান গজিয়ে উঠেছে। দিনদিন আরও দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। অস্থায়ী দোকানগুলির জন্য খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
ওই ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য এর আগে আমরা বারবার উন্নয়ন পর্ষদকে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত ২০ ডিসেম্বর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকের কাছে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডেপুটেশনও দিয়েছিলেন তাঁরা।
২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সৈকতে যাওয়ার রাস্তায় অস্থায়ী দোকান সরানোর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, ২৬ ডিসেম্বর পেরিয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। শেষমেশ তাই পথে নেমে তাঁরা এহেন অভিনব প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এব্যাপারে উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানসকুমার মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে বলেন, ‘কোনওভাবে সৈকতের যাওয়ার রাস্তা অবরুদ্ধ করে অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া হবে না। এবার আমরা এবিষয়ে স্থায়ী সমাধান করার পরিকল্পনা নিয়েছি। খুব শীঘ্রই অস্থায়ী দোকানদার-ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। সেখানে স্থায়ী সমাধানের রাস্তা বের হবে বলেই আমরা আশাবাদী।’