কাঁথি: কাঁথি পুরসভায় কার্যত অচলাবস্থা। স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে স্থায়ী কর্মীরা পেন ডাউন করেছেন কাঁথি পুরসভায়। কাজে যোগ দেননি অস্থায়ী কর্মীরাও। বাইরে থেকে কিছু অস্থায়ী শ্রমিক ভাড়া করে কোনও মতে আবর্জনা সাফাই ও নিকাশির কাজ চালাচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। পুর প্রধান সুবল মান্নার পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে পুরসভায় কর্মরত কমবেশি ৯০০ কর্মী। কয়েক মাস বেতন না পাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে কাজ সচল রেখেই চলে বিক্ষোভ। তবে আজ পুরোপুরি কাজ বন্ধ পুরসভায়।
ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনীতিও। তৃণমূলের কাঁথি পুর কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক রুপ কুমার কয়াল বলেন, “এই বিক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। রাজ্য সরকার ৮৫ শতাংশ ডিএ-সহ বেতন দিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পুরপ্রধানের নজরে আনার পরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। স্থায়ী কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রেও উদ্যোগ নেননি। পুরপ্রধান পুরকর্মীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অফিস আসব। রেজিস্টারে সই করব, ৩২ বছর ধরে এই পুরসভার কাজ করছি। বিগত দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়নি। আমাদের বিক্ষোভ বা ক্ষোভ ওই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। এই পুরপ্রধান একেবারে অযোগ্য।”
এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাঁথি সংগঠনিক জেলার বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি সোমনাথ রায় বলেন, “বিগত দিনে কাঁথি পুরসভাতে মানুষ পরিষেবা পায়নি এমন ঘটনা ঘটেনি। যতদিন অধিকারীরা পুরসভা চালাতেন সুদক্ষভাবে পরিচালনা করতেন। সবাইকে সন্তুষ্ট করে কাঁথি পুরসভা বাসিন্দাদের পরিষেবা দিচ্ছিলেন। আজকের দিনে অস্থায়ী থেকে স্থায়ী কর্মচারীরাও বেতন পাচ্ছেন না। তৃণমূল বেতন চুরি করেও খাওয়া শুরু করেছে।” পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, বেতন বন্ধের খবর তিনি জানেন না। স্থায়ী কর্মীদের বেতন বন্ধ হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন পুরমন্ত্রী। অস্থায়ীদের বেতন বন্ধ নিয়ে খোঁজ নেবেন বলে আশ্বাস দেন ফিরহাদ।