হলদিয়া: হলদিয়া পুরসভাতে নির্বাচনের দাবি জানাল বামেরা। “আমাদের আমলে সময় মতন নির্বাচনটা হত। কিন্তু তৃণমূল সরকার ভয় পায়। সেই কারণে সময় মত নির্বাচন করায় না। তাই রাজ্য জুড়ে আমরা আন্দোলনে নামছি।” বলে দাবি করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
মঙ্গলবার সিপিএম নেতা বলেন, “পঞ্চায়েতে পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন শুরু হয়। নির্বাচনে বামফ্রন্ট জিতবে কি হারবে তা বামেরা কখন দেখেনি। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচন সময় মতো হচ্ছে না । কোথাও ৯ বছর কোথাও ১ বছর নির্বাচন হয়নি। হলদিয়া পুরসভাতে মেয়াদ শেষের পর একবছর হয়ে গেল। এখন এখানে নির্বাচন হয়নি। আমরা সময় মতো নির্বাচন করতাম। এতে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারত। তৃণমূল সমর্থকরাও যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারে। সময়মতো যেন নির্বাচন হয় আর নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা যেন পুরসভা পরিচালনা করে।” এখানেই শেষ নয়, তাঁর আরও অভিযোগ, “তৃণমূল সরকার ভয় পায়। সেই কারণে সময় মতো নির্বাচন করায় না। রাজ্যজুড়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।”
সুজন চক্রবর্তী বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের দায় তৃণমূলকে নিতে হবে। দুর্নীতিতে যাঁরা জড়িত তাঁরা সকলে তৃণমূল করে। তাঁরা সকলে মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক। তৃণমূলের নেতা হওয়াটা যদি টাকা উপার্জনের লাইসেন্স হয় তাহলে তার দায়িত্ব তৃণমূলকে নিতে হবে।”
শুধু তৃণমূল নয়, তাঁর অভিযোগের তির বিজেপির দিকেও। বলেন, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তের নাটক করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তদন্ত তদন্ত ভাব দেখাচ্ছে সব জানিয়ে বুঝিয়ে। সময় নিয়ে যার কারণে কেউ ধরা পড়ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। বলেন, “বর্তমান কেন্দ্র সরকার ইন্দিরা আবাস প্রকল্পের নামরবদল করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করেছে। আবার রাজ্য সরকার নাম বদল করে বাংলা আবাস যোজনা করেছে। নামবদল করে দুর্নীতি করেছে। সারা মুখে কালি লেগে গিয়েছে। মুখ ঢাকার জায়গা নেই । সেকারণে প্রকল্পের নামের ওপর স্টিকার বসিয়ে দুর্নীতি চাপা দিতে চাইছে।”
এ দিনের এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বহু বাম সমর্থক ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, পরিতোষ পট্টনায়ক, ইব্রাহিম আলী, হিমাংশু দাস সহ নেতৃত্বরা।