কাঁথি: সদ্যোজাতের মৃত্যুর পর মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল দেহ। কিন্তু ওই শিশুর মৃত্যু ঘিরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিকে। কবর দেওয়ার পাঁচ দিন পর মাটি থেকে তোলা হল সদ্যোজাতের দেহ। তার পর ময়নাতদন্তের জন্য দেহ তমলুক মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই সেই দেহ তুলেছে কাঁথি থানার পুলিশ। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার নার্সিংহোমে বিক্ষোভও দেখান সদ্যোজাতের পরিজনরা।
কাঁথি থানার চাট্টাভেড়ী এলাকায় এক গৃহবধূর ২০ সেপ্টেম্বর কাঁথির ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। পরের দিন তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর সদ্যোজাত শিশুটি সুস্থ ছিল বলে দাবি তার পরিবারের লোকেদের। জন্মের তিন দিন পর নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর কথা জানায়। এর পরই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে।
ওই বধু সোমা মণ্ডল বলেন “আমি কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। শিশুর দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক নিয়ে গিয়েছে। আমাকে দেহ শনাক্ত করার জন্য নিয়ে গিয়েছিল। আমি ডিএনএ টেস্টের দাবিও জন্য বলবো।” এ বিষয়ে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। নার্সিংহোমে চিকিৎসক থেকে মালিক ও ম্যানেজারের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মৃত শিশু প্রতিবেশী তথা তৃণমূল নেতা শেখ ইমরান বলেন, “আমি নিজে এসে নার্সিংহোমে ভর্তি করে দিয়ে গিয়েছিলাম। দুদিন পরও সদ্যোজাত শিশু ও তার মা সুস্থ ছিল। তারপরের শিশুর জ্বর এসেছিল বলে শুনেছি। কিন্তু কোনও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ডাকা হয়নি। চিকিৎসার গাফিলতির কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত চাই।”