মহিষাদল: সে প্রায় দু’শো বছর আগের কথা। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রাজারামপুর এলাকার রায় পরিবারে মহামারি দেখা দেয়। কী করবেন কী ভাববেন বুঝে উঠতে না পেরে শেষে মহামায়ার শরণাপন্ন হন পরিবারের সদস্যরা। শুরু হয় দুর্গাপুজো। কথিত রয়েছে, পুজোর পর মহামারির হাত থেকে বেঁচে যায় বংশ।
পরিবারের বর্তমান সদস্যদের কথা অনুযায়ী,আজ থেকে প্রায় দু’শো বছর আগে মহিষাদলের রাজারামপুর এলাকার রায় পরিবারে মহামারি দেখা দেয়। সেই সময় মহামারির হাত থেকে বংশের মানুষজনদের বাঁচাতে কুঞ্জ বিহারী রায়ের হাত ধরেই শুরু হয় মহামায়ার আরাধনা। সেই থেকেই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে আজও।
মহামারির হাত থেকে বংশকে রক্ষা করতেই শুরু হয়েছিল দেবীর আরাধনা। এই বংশের বর্তমান পরিবারের সংখ্যা ৮০। রাজ্যের ভিন্ন জেলায় রায় পরিবারের মানুষজন বাস করলেও পুজোর কয়েকটাদিন সমস্ত পরিবার মহিষাদলে হাজির হন তাঁরা।
রায় বাড়ির পুজোয় মায়ের অন্যতম প্রসাদ নারকেল নাড়ু। অন্যান্য ফলমূলের পাশাপাশি নারকেল নাড়ু অবশ্যই থাকে। যাঁরা পুজো দিতে আসেন তাঁরা সকলেই নারকেল নাড়ু দিয়েই পুজো দেন। এমনকী প্রত্যেক দর্শনার্থীকেও দেওয়া হয় প্রসাদ হিসাবে নাড়ু।
বর্তমান সময়ে থিমের মণ্ডপ,থিমের প্রতিমা দেখার জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় জমলেও গ্রামীণ এলাকায় রায় পরিবারের পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ সমাগম হয়।