পূর্ব মেদিনীপুর: কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। সেই বিশ্বাস থেকেই বছরের পর বছর মহিষাদলের কেশবপুর মাইতি বাড়ির দেবীর কাতায়ন ধোয়া জলের জন্য ছুটে আসেন বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। তাদের বিশ্বাস, এই কাতায়ন ধোয়া জল খেলে সারে ব্যাধি, মারণ রোগও। রূপনারায়ণের উপকূলে কেশবপুর মাইতি বাড়ি। প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো এ বাড়ির দুর্গাপুজো।
শোনা যায়, এ পরিবারে প্রথমদিকে ঘটপুজো হতো। কথিত আছে, ঘটপুজোর কয়েক বছর পর মাইতি পরিবারের কুলপুরোহিত এক স্বপ্নাদেশ পান। বলা হয়, রূপনারায়ণের সঙ্গে সংযুক্ত একটি খাল গিয়েছে ওই মন্দিরের পাশ দিয়ে। সেখানে একটি গাছে কাঠামো এবং কাতায়ন আটকে আছে। সেই কাঠামো নিয়ে এসেই প্রথম প্রতিমা পুজো। পাশেই রাখা থাকে কাতায়নও। এই কাতায়ন আসলে দা-এর মতো দেখতে।
দুর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসেন। কাতায়ন স্পর্শ করা জল নিয়ে যান সঙ্গে করে। তবে শুধু পুজোর সময়ই নয়, সারা বছরই মানুষের যাতায়াত এখানে। কাতায়ন ধোয়া জলের জন্য আসেন তাঁরা। বর্তমানে ১২টি পরিবার মিলে এই পুজোর খরচ চালান। অষ্টমীর দিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ এখানে অঞ্জলি দেন। থাকে প্রসাদের ব্যবস্থাও। ভক্তি আর বিশ্বাসের মিশেলে মহিষাদলের কেশবপুরের এই দুর্গাপুজো আজও চিরন্তন।