পূর্ব মেদিনীপুর: দেশ তথা রাজ্য জুড়ে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে কোভিড পরিস্থিতি। পূর্ব মেদিনীপুরেও ব্যাপক সংক্রমণ। জেলার কোভিড হাসপাতালগুলিতে তিলধারণের জায়গা নেই। এদিকে তাও সচেতন নন এক শ্রেণির মানুষ। এই প্রেক্ষিতে করোনা বিধি ভাঙার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় ৩২৬ জনের নামে মামলা রুজু করল পুলিশ। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, অভিযুক্ত ও আটকের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে।
করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এর মধ্যে এক শ্রেণির মানুষের অসচেতনতা ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে। তাই এবার কোভিড বিধি ভাঙলেই কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, করোনা আতঙ্ক রয়েছে। কিন্তু তবুও সচেতন হতে দেখা যাচ্ছে না অনেককেই। মাস্কবিহীন মুখে অবাধ ঘোরাফেরা করছেন তাঁরা। তাই বাধ্য হয়ে এই ব্যবস্থা।
এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোভিড ১৯ আক্রান্ত হলে তাঁদের চিকিৎসার জন্য ব্লক স্তরে স্বাস্থ্য দফতরকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালে ২০ শতাংশ কোভিড বেড রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক সুব্রত রায় বলেন, প্রত্যেকটি বাজার কমিটিকে নিজ উদ্যোগে কোভিড ১৯ বিধি মেনে চলার জন্য আবেদন করছেন। তবুও মানুষ এখনও সজাগ নন। হাট-বাজারে খোলা মাঠে মানুষ ঘুরছেন। তিনি জানান, জেলা শাসক স্মিতা পাণ্ডে এবং পুলিশ সুপার সুনীল যাদবের তরফে নির্দেশ এসেছে যে, জেলায় কী কী সরঞ্জাম লাগবে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলাতে ১০০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার বরাদ্দ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সংক্রমিত মৃতদেহের শেষকৃত্যের জন্য জায়গা খুঁজছে প্রশাসন
এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের অভাব রয়েছে। দিনের পর দিন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতাল থেকে ঘুরতে হচ্ছে মানুষকে। তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সরকারি ভাবে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১৯ জন। এই প্রেক্ষিতে কড়া হচ্ছে প্রশাসন।