রামনগর: রাষ্ট্রপ্রতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। নন্দীগ্রাম থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে দ্রৌপদীর বাহ্যিক রূপ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অখিল। এবার সেই পূর্ব মেদিনীপুরেই কারা মন্ত্রীর শাস্তির দাবিতে বালিসাই থেকে রামনগর পর্যন্ত পদযাত্রা করতে দেখা গেল শুভেন্দুকে। পদযাত্রা শেষে সভা থেকে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানাতে দেখা গেল রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসকদলকে কড়া আক্রমণ করেন তিনি। এ দিনের মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের শুভেন্দুর সাফ বার্তা, “লড়াই আমরা জিতব। অপেক্ষা করুন।”
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত, সহ সভাপতি অসীম মিশ্র জেলার একাধিক বিধায়ক। এদিনের সভা থেকে চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এদের সরকারে থাকা ৮০ ভাগ লোক আমাকে সাহায্য করছে। বলছেন, আপনি তাড়ান।” এখানেই না থেমে শুভেন্দু আরও বলেন, “দুয়ারে সরকারে লোক যাচ্ছে না। বার্ধক্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডার যারা আবেদন করেছিল তারা এখনও পায়নি। এটা থাকবে পঞ্চায়েত পর্যন্ত। আগামী ফ্রেব্রুয়ারি মাসে পঞ্চায়েত ভোট তার আগে দুয়ারে সরকার করে গিমিক তৈরি করছে।” এরপরই সভায় উপস্থিত দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু মাইক হাতে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “পঞ্চায়েতে তৃণমূল ভোট লুঠ করতে এলে আটকাবেন তো?” সমবেত স্বরে প্রশ্নের উত্তর আসে ‘হ্যাঁ’। তাতেই যেন আরও খানিকটা অক্সিজেন পেয়ে মমতা ব্রিগেডকে আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রাজ্য়ে চাকরি থেকে শুরু শিল্পের দুরাবস্থা নিয়েও কড়া আক্রমণ শানান।
শুভেন্দু বলেন, “চাকরি-বাকরি, শিল্প-কারখানা কিছুই নেই। সমাধান একটাই ডবল ইঞ্জিন সরকার। এর বাইরে আর কোনও সমাধান নেই। রাস্তাঘাট কার্যত অবরুদ্ধ। যে দিকে তাকাই কালো মাথা। এ লড়াই আমরা জিতব। অপেক্ষা করুন। সবে তো সকাল হয়েছে। সূর্য উঠেছে। আজকে আবার টিভিতে বলেছে, ইডি নাকি আরও সক্রিয় হচ্ছে। ছবি কেনাটাও সামনে আনবে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। অপেক্ষা করুন। দেখতে থাকুন।”