পূর্ব মেদিনীপুর: খেজুরিতে যেন যোগদানে টক্কর চলছে। আজ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল, পরদিন আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি। যাওয়া আর আসা চলছেই। গত শনিবার খেজুরির কামারদাতে তৃণমূলের সভা ছিল। শাসকদল দাবি করে, সেখানে বিজেপি ছেড়ে অনেকেই তৃণমূলে যোগদান করেছে। এরপরই আবার সোমবার রাতে বিজেপি দাবি করে, তৃণমূল ছেড়ে ২৯টি পরিবার যোগ দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। কটকাদেবী চকে এই যোগদান হয়।
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে শোরগোল বাড়ছে। এ জেলার নন্দীগ্রাম, খেজুরি যেন রোজই খবরে। গত শনিবার খেজুরির কামারদাতে তৃণমূল সভা করে। সেখানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কয়েকজন। যদিও বিজেপির দাবি ছিল, যাঁরা তৃণমূলের তাঁরাই তৃণমূলে ফিরেছেন। বিজেপির কেউ যাননি।
এবার আবার বিজেপিতে যোগদান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে খেজুরি এসসি মণ্ডলের জনকা অঞ্চলের কটকাদেবী চকে পথসভা করে বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারী ছিলেন সেখানে। সেই মঞ্চেই এই যোগদান হয়।
সম্প্রতি তৃণমূলের সভা থেকে দলীয় মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, খেজুরিতে বিজেপির পতাকা ধরার একজনও থাকবেন না। সোমবারের যোগদানের পর এদিন বিজেপি নেতা পবিত্র দাস বলেন, “ওরা বলেছিল খেজুরিতে বিজেপির পতাকা লাগানোর লোক পাওয়া যাবে না। আমি সবসময়ই বলি, বহিরাগতদের খেজুরিতে দাঁড়ানোর জায়গাই নেই। মানুষ তাঁদের মেনে নেবে না। তাও ২-১ জনকে নিয়ে ভেবেছেন খেজুরির মাটি দুর্বল করে দেবেন। ভুলবেন না এটা আন্দোলনের মাটি। এরপর আসল পিকচার শুরু হবে। যোগদান মেলা হবে। শ্যামপুর মোড়ে যোগদান হবে। তৃণমূল থেকে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগ দেবেন।”
যদিও এই যোগদান প্রসঙ্গে খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, “বাধ্য করা হয়েছে কয়েকটা পরিবারকে যোগ দিতে। খুব বেশি হলে ৭-৮টা পরিবার হবে। জোর করে বিজেপির পতাকা ধরানো হয়েছে। আর কিছুই নয়। ওই জায়গাতেই আমরা আগামিদিনে ১৮০টা পরিবারকে যোগদান করাব। বিজেপি নেতৃত্ব কর্মীরা থাকবেন।”