পাঁশকুড়া: সমবায় সমিতির নির্বাচনের আগে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এলো পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকায়। ৫ ই মার্চ পাঁশকুড়ার মাইশোরা অঞ্চলের পাটনার সমবায় সমিতির নির্বাচন। তাঁর আগে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে শাসক দলের দুই গোষ্ঠী আলাদা আলাদা প্রার্থী দেয় সমবায় সমিতির নির্বাচনে। মাইশোরা অঞ্চলের তৃণমূলের প্রধান এবং উপপ্রধানের ৯ জন প্রার্থী পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে একই সমবায় সমিতিতে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করছেন। পাশাপাশি ওই নির্বাচনে বিজেপিও প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু বামফ্রন্ট কোনও প্রার্থীই দেয়নি এই নির্বাচনে।
মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সায়দা সাবানা বানু খাতুন ও উপপ্রধান স্বপন খাঁড়ার নেতৃত্বে ৯ জন প্রার্থী তৃণমূলের হয়ে লড়াই করবে। অপরদিকে তৃণমূলের টিকিটেই ব্লক সভাপতি সুজিত রায়ের নেতৃত্বে ৯ জন প্রার্থী সমবায় সমিতির নির্বাচনে লড়তে চলেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা একপ্রকার তুঙ্গে। মাইশোরা অঞ্চলের উপপ্রধান স্বপন খাঁড়ার অভিযোগ, ব্লক সভাপতি যে প্যানেলটি তৈরি করেছেন সেখানে বামফ্রন্টের চারজনকে সঙ্গে নিয়ে ব্লক সভাপতি সুজিত রায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। শনিবার পাটনা বাজারে ব্লক সভাপতি সুজিত রায়ের নেতৃত্বে সমবায় সমিতির নির্বাচনের কর্মিসভা হয়। সেই সভাতেও উপস্থিত হতে দেখা যায় আরেক গোষ্ঠীর প্রধান এবং উপপ্রধানকে। ওই সভাতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। তবে ওই সভা থেকে সৌমেন মহাপাত্র ব্লক সভাপতি সুজিত রায়ের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এবং তাঁদেরকেই ভোট দেওয়ার কথা জানান তিনি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনও মীমাংসা না হওয়ায় উপপ্রধান স্বপন খাঁড়া তাঁদের প্রার্থী তুলতে নারাজ। অর্থাৎ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর প্রার্থীদের লড়াই হবে টক্করে টক্করে।
সভা শেষে সৌমেন মহাপাত্র চলে যাওয়ার মুহূর্তেই তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবং গ্রাম প্রধান সাইদা শাবানা বানু খাতুনকে হেনস্থা করার অভিযোগ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায়ের গোষ্ঠীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের কোন গোষ্ঠী পাটনা সমবায় সমিতি নিজেদের দখলে রাখবে সেই লড়াই দেখতে ৫ই মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিজেপি।