পূর্ব মেদিনীপুর: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। অন্যদিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের(Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনাতেও তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই অর্পিতাই আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED)। তবে পার্থর গ্রেফতারের পর থেকেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। এবার শনিবার খড়গপুর এর হরিয়াতাড়া এলাকায় সাংগঠনিক বৈঠক শেষে ফের পার্থ ইস্যুতে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানাতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh)।
এদিন খড়গপুর এর হরিয়াতাড়া থেকে দিলীপ বলেন, “টাকাটা তো পার্থ তোলেনি, পার্থর কাছে এসেছে। পার্থ বাবু বাড়িতে বসে তা নিয়েছেন। গ্রামগঞ্জ থেকে যারা টাকাটা তুলে নিয়ে এসেছে তার লিস্ট পাঠিয়েছে এমএলএ, এমপিদের কাছে। সবাই এর সঙ্গে যুক্ত আছে।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়েই নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে রাজ্যজোড়া বিতর্কের মধ্যে ইতিমধ্যেই পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর পাশাপাশি দল থেকেও অপসারিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এ সবের পিছনে ‘ষড়যন্ত্র’ আছে বলে শুক্রবারই দাবি করেছেন পার্থ।
এ নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ। রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র হলে বলুন না কে করেছে। সবাই বলছে মুখ খুলব, বলছে না কেউ, ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে। বহু লোক টাকা তুলেছে তাঁদের অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।” ইডির তদন্তে কী তবে খুশি বিজেপি? এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “খুশি নয়, তদন্ত শুরু করেছে, অনেক বড় ব্যাপার আছে। দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিৎ, বেশি লোক লাগানো উচিৎ। যাতে তাড়াতাড়ি সব সামনে আসে। আগে সারদার টাকা অ্যাম্বুলেন্স করে বাংলাদেশ গিয়েছে। এতো টাকা রাখার জায়গা নেই, সোনা এনে রাখা হয়েছে। অনেকের কাছ থেকে সোনা নেওয়া হয়েছে। অনেক নেতারা টাকা ধরা পড়বে বলে সোনা নিত।”