তমলুক: ফের এক বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ১৫০ কোটির বহুতল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল আদালত। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় শুক্রবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হবে নির্মাণ। বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। তমলুক পুরসভাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, সাত তলার বাড়ির কোনও বেসমেন্টই নেই। যেখানে বেসমেন্ট, একতলা সহ পাঁচতলা বিল্ডিং তৈরির অনুমতি ছিল, সেখানে সাত তলা বাড়ি এভাবে তৈরি হল কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশ, ফ্ল্যাটের জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়া থাকলে তা সুদসহ গ্রাহকদের মিটিয়ে দিতে হবে। বহুতলে ইতিমধ্যেই যাঁরা বসবাস শুরু করছেন, তাঁদের ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, তমলুক ডাউনটাউন এনক্লেভ নামে ওই বহুতল ২০৮১৭ বর্গমিটার জুড়ে রয়েছে। নির্ধারিত আয়তনের বেশি অংশ জুড়ে বহুতল নির্মাণ করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। আদালতের নির্দেশের পর ঘোর বিপাকে পড়েছেন আবাসিকরা। তমলুক শহরের এই বহুতলে বসবাস করে প্রায় ১৫২টি পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতে এই আবাসন ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ আসে।
খবর পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কিত আবাসনে বসবাসকারী মানুষজন। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে অনেকেই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। সবাই আপাতত উদ্বেগে রয়েছেন। এক আবাসিক বলেন, “আমরা স্তম্ভিত। আমরা কিছু বুঝতে পারছি না। বিল্ডারের সঙ্গে সরাসরি কোনও কথা হয়নি।” তাঁর দাবি, বেসমেন্ট ছিল কি না, সেটা জানেন না তাঁরা। ফ্ল্যাট নির্মাণ হওয়ার পর কিনেছিলেন তাঁরা। নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রিও হয়েছে, পুরসভায় মিউটেশনও করিয়েছেন বাসিন্দারা। নিয়মিত দিচ্ছেন ট্যাক্স।