Bengal Doctor: রাখে ডাক্তার মারে কে! শিশুর মুখ থেকে একহাত রড বের করে যমকে ‘ছুটি’ দিলেন বাংলার ডাক্তাররা

Kanishka Maity | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 04, 2024 | 3:53 PM

Bengal Doctor: বছর তিনেকের ছোট্ট মৌমিতার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার ভবানীপুর থানার বাড়-উত্তরহিংলী গ্রামে। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতেই নিজের মনে খেলা করছিল একরত্তিটা। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, ঘরে যখন মৌমিতার মা রান্নার কাজে ব্যস্ত তখন আলমারির নিচে থাকা লোহার রড নিয়ে দৌড় দেয় একরত্তিটা। তারপরই ঘটে যায় এই ঘটনা।

Bengal Doctor: রাখে ডাক্তার মারে কে! শিশুর মুখ থেকে একহাত রড বের করে যমকে ‘ছুটি’ দিলেন বাংলার ডাক্তাররা
বড় নজির বাংলার ডাক্তারদের
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

হলদিয়া: মা কাজে ব্যস্ত। বাড়ির মধ্যেই নিজের মনে খেলা করছিল একরত্তিটা। কিন্তু কে জানতো সামনেই তার জন্য অপেক্ষা করছে বড় বিপদ। মুখ ফুঁড়ে ঢুকে গেল লোহার রড। দৃশ্য দেখে ততক্ষণে জ্ঞান হারানোর পথে মা। মেঝেতে পড়ে ছটফট করছে করছে মেয়ে মৌমিতা দাস। চিৎকার আর কান্নার আওয়াজ শুনে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। তড়িঘড়ি মৌমিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চিকিৎসকরা তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন। 

বছর তিনেকের ছোট্ট মৌমিতার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার ভবানীপুর থানার বাড়-উত্তরহিংলী গ্রামে। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতেই নিজের মনে খেলা করছিল একরত্তিটা। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, ঘরে যখন মৌমিতার মা রান্নার কাজে ব্যস্ত তখন আলমারির নিচে থাকা লোহার রড নিয়ে দৌড় দেয় একরত্তিটা। আচমকা মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। তখনই মুখের ভিতর গলার ঠিক উপরে ভয়ঙ্করভাবে গেঁথে যায় লোহার রডটি। দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠে যায় মায়ের। চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। 

সঙ্গে সঙ্গে মৌমিতাকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তড়িঘড়ি গঠিত হয়ে যায় মেডিকেল টিম। এদিন দুপুরে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক সার্জেন শিব শঙ্কর দে ও ইএনটি বিভাগের সার্জেন তিতাস করের তত্ত্বাবধানে হয় অস্ত্রোপচার। তা সফলও হয় শেষ পর্যন্ত। তাতেই মুখে হাসি ফুটেছে মা কল্পনা ও বাবা দীপক দাসের মুখে। অন্যদিকে চিকিৎসক শিবশঙ্কর দে বলেন, “খুব সাবধানে অপারেশন করতে হয়েছে। এমনি সফল হয়েছে। আশা করছি ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে।” 

Next Article