নন্দীগ্রাম : গত কয়েকদিন ধরেই নন্দীগ্রামের রাজনীতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিজেপি ছাড়ার পর প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি জয়দেব দাসের সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষ। আর তারপরই জয়দেল দাসকে বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল। সূত্রের খবর, শুক্রবারই কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেবেন জয়দেব দাস। তার আগেই সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। যাঁর নেতৃত্ব এতদিন বিজেপি করেছেন তাঁরা, কিছু না জানিয়েই কেন বিজেপি ছাড়লেন তিনি, তা নিয়েই শুরু হয় বিক্ষোভ।
বৃহস্পতিবার অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জয়দেব। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সমর্থকেরা। তাঁদের দাবি, এভাবে সমর্থকদের না জানিয়ে বিজেপি ছাড়া যায় না। আগামিদিনে ভরসা রাখবেন কী ভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন সমর্থকেরা। গ্রামের মধ্যে ওই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ গিয়ে সামাল দেয়।
বিজেপির দাবি, জয়দেব দাসের পাশ থেকে ক্রমশ মানুষ সরে যাচ্ছে। আগামিদিনে মানুষ জয়দেব দাসের সঙ্গে থাকবে না। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই বিক্ষোভেগ ঘটনা থেকে প্রমাণ হল, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই। তবে জয়দেল দাসের দাবি, বিজেপির কিছু গুণ্ডা তাঁর বদনাম করা চেষ্টা করছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, বিজেপিতে রাজনৈতিকভাবে হত্যা করার চেষ্টা চলছে তাঁদের, আর সেটা মানুষ জানে। তাঁর দাবি, সময় এলেই বোঝা যাবে, মানুষ কার সঙ্গে আছে।
কয়েকদিন আগেই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। অধিকারী গড়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আর তারপরই শুভেন্দু-গড়ে যান কুণাল ঘোষ। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম দিনেই নন্দীগ্রামে গিয়ে এই জয়দেব দাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কুণাল ঘোষের। নন্দীগ্রামের দুই প্রাক্তন বিজেপি কর্মী বটকৃষ্ণ দাস ও জয়দেব দাসের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এই দুই নেতার দাবি ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ নেতাদের জায়গা করে দিতেই তার ফল ভুগতে হচ্ছে পুরনো কর্মীদের।