পূর্ব মেদিনীপুর: ইস্যু সম্পত্তি। দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। রবিবার বিকালেও যখন অশান্তি শুরু হয়, তখন প্রতিবেশীরা রোজকার ঘটনা ভেবে বিশেষ আমল দেননি। কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে দাঁড়ায়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘর থেকে দাঁ, বটি নিয়ে চলতে থাকে হামলা… প্রতিবেশীরা যতক্ষণে এসে ঠেকানোর চেষ্টা করেন, ততক্ষণে ঘটে গিয়েছে রক্তারক্তিকাণ্ড। ধারাল অস্ত্রের কোপ পড়েছে শরীরের একাধিক জায়গায়। মাটিতে পড়ে চাপ চাপ টাটকা রক্ত। এমনকি শরীরের কিছুটা মাংস খুবলে পড়েছে রাস্তায়। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ নিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে। দাদাকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন মৃতের স্ত্রী। আহত হয়েছেন তাঁদের দুই নাবালিকা মেয়েও। ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের বাড়ির বাকি সদস্যরা পলাতক। আহতরা বর্তমানে তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মৃতের নাম বিকাশ মণ্ডল (৪৫)।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ ও মুক্তির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি চলছিল। রবিবার বিকালে তা চরমে ওঠে। দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ,মুক্তি কাতান ও লোহার রড দিয়ে বিকাশের মাথায় আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিকাশ। তাঁকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে। তাঁদেরও শরীরের একাধিক জায়গায় পড়ে ধারাল অস্ত্রের কোপ। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে রাতেই মৃত্যু হয় বিকাশের।
ঘটনার পরই পালিয়ে যান মুক্তির পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগের ভিত্তিতে মুক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এক প্রতিবেশী বলেন, “গ্রামের সবাই ওদের অশান্তির কথা জানত। রোজই ঝামেলা হত। কিন্তু এমনটা যে ঘটে যেতে পারে, কেউ আঁচও করেননি। কোন পরিবারে অশান্তি নেই? তা বলে এত নৃশংসতা?”