Khejuri: মহিলাকে মারধর, রাতেরবেলা গুড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি, সব হারিয়ে রাস্তায় গঙ্গা
Khejuri: জানা গিয়েছে, প্রায় পনেরো বছর আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীর অত্যাচারে অত্যাচারিত হয়ে বাবার বাড়িতে এসে ওঠেন গঙ্গা রানি ভুঁইয়া। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে ওই জায়গাতে ভাগ চাষি হিসাবে কাজ করেছেন গঙ্গার বাবা।

খেজুরি: খেজুরিতে অসহায় মহিলাকে মারধরের অভিযোগ। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মহিলার বসত বাড়ি। আদালতে পাট্টা জায়গা নিয়ে মামলা চলাকালীন দাদাগিরি। পুলিশ নিষ্কৃয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপোড়েন।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি দুই ব্লকের হলুদবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেখালি গ্রামে। ঘটনার সূত্রপাত অসহায় মহিলা যে জায়গার উপর বসবাস করছেন সেই জায়গাকে কেন্দ্র করে।
জানা গিয়েছে, প্রায় পনেরো বছর আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীর অত্যাচারে অত্যাচারিত হয়ে বাবার বাড়িতে এসে ওঠেন গঙ্গা রানি ভুঁইয়া। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে ওই জায়গাতে ভাগ চাষি হিসাবে কাজ করেছেন গঙ্গার বাবা। এক পুত্র সন্তান নিয়ে অসহায় গঙ্গা বাবার দারস্ত হলে ওই জায়গায় একটি বসত বাড়ি করে দেন তাঁর বাবা। প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর ওই ভেস্ট ল্যান্ডের উপর পুত্রকে থাকছিলেন তিনি।
কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে জানতে পারলেন, তিনি যে জায়গায় বসবাস করছেন সেই জায়গার পাট্টা শিবপ্রসাদ দাস নামে এক ব্যক্তির নামে বেরিয়েছে। এরপর গঙ্গারানি আদালতের দ্বারস্থ হন। বর্তমানে মামলাটি আদালতের বিচারাধীন। এখানেই শেষ নয় তাঁর এও অভিযোগ, শিবপ্রসাদ ওই মহিলার জায়গাটি দখল করার জন্য বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছেন। গঙ্গা না শোনায় তাঁর বাড়িতে এসে হামলা চালায়। বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি মারধর করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর অসুস্থ অবস্থায় গঙ্গাকে তাঁর দুই ভাই হাসপাতালে ভর্তি করান। তারপরে খেজুরি থানার দ্বারস্থ হন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে খেজুরি থানার পুলিশ একটি মামলার রুজু করলেও অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ওই এলাকার বিজেপি নেতা,বিশ্বম্ভর ত্রিপাঠী বলেন, “বর্তমানে যেখানে টাকা সেখানেই পুলিশ। যেহেতু মহিলার কোনও টাকা পয়সা নেই তাই এক্ষেত্রে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি।” বিজেপির তোলা অভিযোগ কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জেলা কমিটির সদস্য শ্যামল কুমার মিশ্র বলেন,” পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়। আমরা পুলিশকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। পুলিশ অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রকরবে। ”
গঙ্গারানি বলেন, “এখানেই বাবা চাষ করত। সেখানেই অন্যের নামে কীভাবে পাট্টা বেরল জানি না। জুন মাসের ঘটনা। ছেলেটাকে টিউশন পাঠিয়েছি। এসে দেখি আমার ঘর পুরো ভেঙে দিয়ে চলে গিয়েছে। এমনকী আমার গলা টিপে দেয়। নোংরা গালিগালাজ করে আমায়।”

