খেঁজুরি: অভিষেকের সভা থেকেই শুভেন্দুর ‘চ্যাপ্টার ওপেন’ হবে। এই ভাষাতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছিল। কুণালের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা চাওয়ায় সেই চ্যাপ্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার শুভেন্দুর চ্যাপ্টার খোলার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করছেন তিনি। আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে। সেই সভার আগেই এমন মন্তব্য করলেন কুণাল।
উল্লেখ্য, ২০২০-তে শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যখন ক্রমশ তলানির দিকে, তখন এই ‘চ্যাপ্টার ক্লোজ’ শব্দবন্ধই ব্যবহার করেছিল তৃণমূল। কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকের পর বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, ‘শুভেন্দু এখন ক্লোজড চ্যাপ্টার।’
শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির কলেজ মাঠে ‘হার্মাদ দিবস’ উপলক্ষে সভা ছিল তৃণমূলের। শাসক তৃণমূলের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন এদিন। সবারই নিশানায় ছিল কাঁথির শান্তিকুঞ্জ। মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি, যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরি, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান, জেলা চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস-সহ অনেকেই।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ক্ষমা চেয়েছেন স্বীকার করেছেন। অখিল গিরির চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শুভেন্দুর কী হবে? শুভেন্দু অধিকারীর চ্যাপ্টার ওপেন করা হোক। একই সঙ্গে ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে তল্লাশি চালানোর দাবি জানান তিনি। কুণালের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এলাকায় অস্ত্র ও বোমা ঢোকানো হচ্ছে।
এদিন মিঠুন চক্রবর্তীকেও কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। বিজেপির হয়ে যখন ময়দানে নেমেছেন মিঠুন, তখন কুণালের কটাক্ষ, সিনেমায় সই করার মতো দলে সই করেন তিনি। এদিন অখিল গিরিও মঞ্চ থেকে শুভেন্দুকে নিশানা করেন। ১০০ দিনের টাকা নিয়ে সরব হন তিনি। তাঁর দাবি, শুভেন্দুরাই চিঠি দিয়ে টাকা দিতে নিষেধ করেন কেন্দ্রকে।