নন্দীগ্রাম: ভোট সন্ত্রাসে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে মাঠে নেমেছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব। এদিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছিলেন শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষেরা। তাঁদের নেতৃত্বেই এদিন বিরুলিয়া বাজার থেকে ঘরছাড়াদের আনা হয়। ঘরছাড়াদের পৌঁছে দেওয়া হয় ঘরে। নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “এখানের অনেক তৃণমূল সমর্থকদের উপর অনেকদিন থেকেই সন্ত্রাস চলছে। তাই ওদের আজ ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি। তারপর যে অভিযোগ জমা পড়েছে, কারা সন্ত্রাস করেছে সেগুলির বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।”
অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “১০ হাজার ৪৫৭ ভোটে নন্দীগ্রামে হেরেছেন শুভেন্দু। সেই আক্রোশে এদের মারা হচ্ছিল। বারবার মানুষ এগুলো নিয়ে অভিযোগ করেছে। বিজেপির হার্মাদরা এসব করছে। আগে সিপিএমের হার্মাদ ছিল, এখন বিজেপির হয়েছে।” দলীয় নেতৃত্বদের পাশে পেয়ে খুশি ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীরা। এলাকার এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “ভোটের একমাস আগে থেকেই আমাকে টার্গেট করা হচ্ছিল। যাতে প্রচার না করতে পারি তাই বারবার আমার উপর হামলা করার চেষ্টা করেছে। ভোটের তিনদিন আগে বাইক বাহিনী দিয়ে আমাকে তাড়া করেছিল। সেদিন কোনওরকমে প্রাণটা বাঁচাই। ভোটের রেজাল্টের পরেও বাড়ি এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বলছে, বাড়ি এলেই মারবে। ভয় তো করছে। তবে দলীয় নেতৃত্ব এখন পাশে এসে দাঁড়ানোয় খানিক ভরসা পাচ্ছি।”
অন্যদিকে এদিনই আবার এক মহিলা তৃণমূল কর্মীকে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। নন্দীগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী। যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করেছে বিজেপি। তমলুক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “ওটা তো মিথ্যাবাদীর দল। যা বলছে সব মিথ্যা কথা। ওরাই তো মানুষের উপর সবথেকে বেশি অত্যাচার করেছে। মুখে এসব বলছে কিন্তু, ওরা কী সত্যি বলতে পারবে কোন কোন বিজেপির লোক গিয়ে ওদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে? সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাতেও তো ধরা পড়ত তাহলে।”