AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahishadal Raj College: লাল চেলিতে গাঁদা ফুলের সাজ, টোপর মাথায় বর! কলেজের ইউনিয়ম রুমই যেন ছাদনাতলা!

Mahishadal Raj College: মহিষাদল রাজ কলেজের এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষজন এবং প্রাক্তন ছাত্ররাও! জানা গিয়েছে, এক সময় মহিষাদল রাজ কলেজের ছাত্র রাজনীতি করতেন দেবাশিস সাঁসকা।  বর্তমানে ওই কলেজেরই অশিক্ষক কর্মচারী।

Mahishadal Raj College:  লাল চেলিতে গাঁদা ফুলের সাজ, টোপর মাথায় বর! কলেজের ইউনিয়ম রুমই যেন ছাদনাতলা!
রাজ কলেজের ইউনিয়ন রুমেই কি তবে বিয়ে? Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2024 | 5:14 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর:  টোপর মাথায় বরের বেশে বসে ছাত্র। সামনে সাজানো বাহারি থালা। তাতে পাঁচ রকম ভাজা, মাছের মাথা, মাংস … এলাহি আয়োজন। সঙ্গে গাঁদা ফুলের সাজ! কলেজের ইউনিয়ন রুমে বসে এরকম আয়োজন চমকে ওঠার মতনই। কলেজের ইউনিয়ন রুমে হল প্রাক্তন ছাত্র নেতার বিয়ের আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর অনুষ্ঠান। সেই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর শোরগোল।

মহিষাদল রাজ কলেজের এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষজন এবং প্রাক্তন ছাত্ররাও! জানা গিয়েছে, এক সময় মহিষাদল রাজ কলেজের ছাত্র রাজনীতি করতেন দেবাশিস সাঁসকা।  বর্তমানে ওই কলেজেরই অশিক্ষক কর্মচারী।

তারই বিয়ে উপলক্ষে রাজ কলেজের ছাত্র সংসদের ভেতরেই হল আইবুড়ো ভাত খাওয়ার অনুষ্ঠান। কলেজের ভেতরে রুমের মধ্যে এভাবে আইবুড়ো ভাত খাওয়ার অনুষ্ঠান এবং সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সব মহলেই। এই কলেজেরই গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। এমন ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয় এবং বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, ঘটনার বিষয়ে খবর নেবেন বলে দায়সারা উত্তর দিয়েছেন কলেজেরই অধ্যক্ষ গৌতম মাইতি। তবে ঘটনা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে সমালোচনা। প্রাক্তন এসএফআই নেতা পরিতোষ পট্টনায়েক বলেন,  “শিক্ষা প্রাঙ্গনে এই ধরনের কাজ কখনই কাম্য নয়। ছেলেমানুষি ছাড়া অন্য কিছু নয়।” প্রাক্তন ছাত্র নেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমাদের সময়ে রাজনীতি হত অন্য ভাবে। এখন তো ছাত্রছাত্রীদের একাংশ সুবিধা পাওয়ার জন্য দাদা দিদিদের এসব করে, আইবুড়ো ভাত খাওয়ায়, বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্য।”

যদিও মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “আমি এই ব্যাপারটা শুনেছি। ইউনিয়ন রুমের মধ্যে হয়ে থাকলে এটা কাম্য নয়। অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা চিন্তাভাবনা না করে তাদের মতো করে অনুষ্ঠান করে ফেলেছে। এটা উচিত নয়।” যদিও কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুমার মাইতি বলেন, “আমার এই বিষয়টা একদমই জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। যদি ঘটে থাকে, তাহলে তা অনুচিত।”