ইয়াস বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছবে ‘দুয়ারে ত্রাণ’, কবে কী ভাবে আবেদন করতে হবে জানালেন মমতা

May 28, 2021 | 5:04 PM

কারও যেন কোনও ক্ষোভ না থাকে, জেলা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।

ইয়াস বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছবে দুয়ারে ত্রাণ, কবে কী ভাবে আবেদন করতে হবে জানালেন মমতা
ছবি পিটিআই

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: আমফান পরবর্তী সময়ে ত্রাণবিলি নিয়ে অভিযোগের পর অভিযোগে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে। একাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। ইয়াসের ত্রাণবণ্টন নিয়ে তাই এবার প্রথম থেকেই হুঁশিয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেবে তাঁর সরকার। সেই ত্রাণ বিলির আগে একাধিক বার আবেদনের পর্যালোচনা করা হবে। দিঘায় বসে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আর্থিক সাহায্য ৩ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত দুয়ারে ত্রাণ চলবে। সরকারি আধিকারিকরা এই কাজ করবেন। গ্রামপঞ্চায়েত থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন জমা নেওয়া হবে। এরপর ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে পর্যালোচনা। প্রতিটি আবেদনের সার্ভে হবে। এরপর হবে ফিল্ড সার্ভে। সবদিক খতিয়ে দেখে তারপরই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাঙ্ক ড্রাফ্টের মাধ্যমে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত এই টাকা পাবেন।”

আরও পড়ুন: ‘দিঘায় আসতে হত’, তাই রিপোর্ট দিয়েই কলাইকুন্ডা ছাড়েন মমতা

একদিকে ইয়াসে বিপর্যস্ত দিঘার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যেমন ১০ হাজার কোটি টাকার সাহায্য চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দিঘার সমুদ্রপার নতুন করে গঠনে বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলবে সেই কমিটি।

একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দেন, দ্রুততার সঙ্গে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে এলাকার সমস্ত পুকুর, খাল যেন পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। ইয়াসের তাণ্ডবে জলের তলায় চলে গিয়েছে জেলায় একাধিক ইটভাটা, পানের বরোজ। জমিকে জমি ফসল নোনা জল ঢুকে শেষ করে দিয়েছে। মমতার আর্জি, মানবিকতার হাত নিয়ে সকলকে সকলের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারও কোনও সমস্যা যাতে না হয় সেদিক খেয়াল রাখতে হবে।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, গ্রামীণ যে সমস্ত রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলাশাসক যেন সেগুলি পথশ্রীর আওতায় এনে পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। বাকি রাস্তা দেখার ভার দেন পিডব্লুডির আধিকারিকদের। কৃষি দফতরকেও মমতার বার্তা, যেখানে জমিতে লবন জল ঢুকে গিয়েছে, মাছের চাষ ব্যাহত হচ্ছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেসব জায়গার জল পাম্প করে যেন বের করা হয়। মমতার বার্তা, মানুষের যেন কোনও ক্ষোভ না থাকে। সকলে যেন ত্রাণ পান সেটা নজরে রাখতে হবে।

Next Article