পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে কারোর নাম না করে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘শিক্ষায় দুর্নীতি’ থেকে শুরু করে ‘মেয়েঘটিত কেস’ সব কিছুরই বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্ফোরক সব অভিযোগ করলেন, তবে নাম নিলেন না কারোর। মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরে স্কুলশিক্ষায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে কার জন্য? আমিও সব খবর রাখি। কিসের বিনিময়ে চাকরি হয়েছে? আমি বলছি, কারও চাকরি আমি যেতে দেব না।’’
নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “দিল্লির জোরে ক্ষমতা দেখিয়ে এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করেছে। মনে রাখবেন গদ্দারবাবুরা, গদ্দারদের কমরেডরা, সব থেকে বেশি খেয়েছে, যখন পার্টিতে ছিল, সব থেকে বেশি নিয়েছে, আর যখন ধরা পড়বে বুঝল, তখন লঙ্কাকাণ্ড ঘটাল।” তিনি অভিযোগ করেন, ” গরিব ছেলেমেয়েদের চাকরি খেয়ে, এখন সাধু সেজে বসে রয়েছে। সাধুর বেশে বসে রয়েছে।”
বিরোধী নেতৃত্বকে বিঁধছিলেন মমতা, পাশপাশি বিঁধছিলেন কেন্দ্রকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসে দাবি করেছিলেন, ৪৭ হাজার কোটি টাকা বাংলাকে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গে বিঁধতে গিয়েই বিস্ফোরক দাবি করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছিলেন, আর সেটা করতে গিয়েই বলে ফেললেন মেয়েঘটিত কেসের কথা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তিনি নাকি ৪৭ হাজার কোটি টাকা বাংলাকে দিয়েছেন, আর আমরা নাকি খেয়ে নিয়েছি, ঘরবাড়ি দিইনি। অঙ্কটা বলি, যদি কারোর কোনও সন্দেহ থাকে, চ্যালেঞ্জ করবেন। আমি সরকারের কথা বলছি, পার্টির কথা নয়। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ সালে মনে রাখবেন কিছু কিছু স্কিম আছে, এখান থেকে যে ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়, তার কিছু রাজ্যের অধিকার মতো দেয়। ১৪-১৫ থেকে ২১-২২ পর্যান্ত ২৯ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা।” আর এই কথাটা বলতে গিয়েই চলে আসে ‘গদ্দার’-প্রসঙ্গ। সঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশেও তিনি বললেন, “গদ্দারদের বন্ধু যে সাংবাদিক বন্ধুরা রয়েছেন, তাঁরা ভাল করে লিখবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গদ্দারদের বন্ধু যে সাংবাদিকরা রয়েছেন, তাঁরা ভাল করে লিখবেন। আপনারা তো আবার তাঁদের দোষ দেখতে পারেন না। এমনকি মহিলাঘটিত কেসও দেখতে পারেন না। আমি কিন্তু জানি সব। সব জেনে চুপচাপ রয়েছি। টাইমে বার করে দেব। কতক্ষণ চেপে রাখবেন, দেখব আমি।” অবশ্য এক্ষেত্রেও মুখে কারোর নাম নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।