কাঁথি: আর কয়েকদিন পরেই চার দিন ব্যাপী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তার আগেই জেলায় শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের একাংশ যোগাযোগ রাখার অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ল। ওই পোস্টার তৃণমূল যে তরফে ফেলা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পৌরসভা এলাকায়। অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির।
তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া-সহ কাউন্সিলর কানাইলাল দাস, বিমল ভৌমিক, গৌতম পালের নামে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ, গোপনে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে পোস্টারগুলি পড়েছে। সেই পোস্টারের নিচে নতুন তৃণমূলের নাম উল্লেখ রয়েছে। এও উল্লেখ, ‘সব খবর রাখেন যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’। সাত সকালেই সারা তমলুক শহরের একাধিক ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় এই পোস্টার দেখতে পাওয়া গিয়েছে। পোস্টারে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র সহ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপির এক নেতার নামও উল্লেখ রয়েছে।
যদিও, পোস্টারের লেখার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী। জেলা সিপিআইএম সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, “জেলা তৃণমূলে একাংশ শুভেন্দু অধিকারীর সাথে যোগাযোগ রেখেছেন এটা সত্যি। তাই পোস্টার। না হলে হলদিয়ার শ্যামল আদকের মতো আবার জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলই।”
অপরদিকে সকাল থেকে বারবার পোস্টারে উল্লেখিত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাইতি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুদ্ধিকরণ করতে চাইছেন। তিনি যদি মনে করেন এক্ষেত্রেও নজর দেবেন।”
বিরোধীদল নেতার ভাই ও বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজনৈতিক ভাবে নেতা কাউন্সিলর ও মন্ত্রীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। কিন্তু ব্যাক্তিগত ভাবে রয়েছে কম বেশি। তবে শাসক তৃণমূল এত ক্ষমতা। বিপুলসংখ্যক সংখ্যাগরিষ্ঠ তা থাকা সত্ত্বেও এত আতঙ্কিত কেন?”