মেদিনীপুর: দু’টি ধর্ষণের ঘটনায় দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করল মেদিনীপুর আদালত। তাঁদের একজনকে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড ও অন্যজনকে দশবছরের জন্য় কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানা এলাকার এক নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসক জানান, ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা নাবালিকাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় নাবালিকা জানায়,অভিযুক্ত তাকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এরপর পরিবারের তরফে ডেবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দ্রুত এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পকসো ধারায় শুরু হয় তদন্ত প্রক্রিয়া। অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার ষাট দিনের মধ্যেই পুলিশ চার্জশিট দেয়। এরপর দ্রুত চার্জফ্রেম গঠিত হয়। সেই সময় থেকেই জেলেই ছিল অভিযুক্ত। আদালত দশজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। এরপর শনিবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনাস কোর্ট। বিচারক ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ বছর আশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ২০২২ সালের জুন মাসের। ডেবরা থানা এলাকার এক যুবতী পাড়ার যুবকের সঙ্গে সাইকেলে চেপে বাজারে গিয়েছিলেন। বাজারে কিছু সময় থাকার পর ওই ব্যক্তি যুবতীকে অন্য আর এক যুবকের বাইকে চেপে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা জানায়। সেই মত নির্যাতিতা যুবতীকে বাইকে চাপিয়ে সেই এলাকা থেকে চলে আসে। কিন্তু যুবতীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার বদলে দোষী সাব্যস্ত যুবক একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। যুবতী বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথম দিকে পকসো ধারায় মামলা শুরু হলেও পরে জানা যায় ওই নির্যাতিতার বয়স আঠারো পেরিয়েছে। এই ঘটনাতেও ষাট দিনের মাথায় পুলিশ চার্জশিট দেয়। একইসঙ্গে আদালত দশজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। তারপর অভিযুক্তকে দোষী সাবস্ত্য করা হয়। বিচারক দোষী যুবককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।