চণ্ডিপুর: ছেলে থাকে কলকাতায়। শেষ কথা সকালে। কিন্তু, দুপুরের পর আর করা যাচ্ছিল না যোগাযোগ। শেষে চিন্তায় প্রতিবেশীকে ফোন করে ছেলে। কিন্তু, ফোনে যা শুনলেন তাতে মুহূর্তেই চোখের সামনে নামল অন্ধকার। আর নেই মা। মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, যে মানুষটা সকালেও ঠিক ছিলেন দুুপুরের মধ্যে এই পরিণতি হল কী করে? সেই প্রশ্নেই ধোঁয়াশা। চাঞ্চল্যকর ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডিপুরে। চণ্ডিপুর থানা এলাকার মাজনবেড়িয়া গ্রামে বাড়িতে একাই থাকতেন ওই মহিলা। এদিন নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ। মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
মহিলার ছেলে কলকাতায় হোটেল কর্মীর কাজ করেন বলে জানা যাচ্ছে। একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু, তাঁরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে ছেলে কলকাতায় থাকলেও যোগাযোগ ছিল নিয়মিতই। এদিকে প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে যে জায়গায় তিনি আনাজ কাটেন সেই জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। সে কারণেই খুনের কথা বলছেন অনেকেই। ধন্দে পুলিশ। জোরকদমে চলছে তদন্ত। পরিবারের দাবি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন ওই মহিলা।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির দাবি, একা থাকার সুযোগে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। যদিও তৃণমূল সেই দাবি মানতে নারাজ। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করে রাজনীতি করছে বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। ইতিমধ্য়েই চণ্ডিপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে পরিবারের তরফে। এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার সৌমদ্বীপ ভট্টাচার্য বলেন, “মৃতার ছেলের খুনের অভিযোগ করেছেন। তার ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসুক তারপরই মৃত্যুর কারণটা অনেক পরিষ্কার হবে।”