Nandigram: নন্দীগ্রামে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দলের নাম জড়াতেই মুখ খুললেন শেখ সুফিয়ান

নন্দীগ্রাম: নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল নন্দীগ্রাম।
নন্দীগ্রাম থানায় স্মারকলিপি দিল নির্যাতিতাসহ ডি-ওয়াইএফআই। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লকে। নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী-সহ ডি ওয়াই এফ আই এর অভিযোগ, নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের দ্বিতীয় খণ্ড জলপাই গ্রামে নির্যাতিতা ছাত্রীর মামার বাড়ি। নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী দিল্লিতে তার বাবা-মায়ের কাছে থাকে। ওখানে পড়াশোনা করে। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে ছুটিতে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। অভিযোগ গত ২৫ মে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি, তিনি বিবাহিত, তার দুই মেয়েও রয়েছে। নন্দীগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকে অভিযুক্ত। অভিযুক্ত ওই নাবালিকার সঙ্গে প্রথমে পরিচয় জমায়। তারপর তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

নাবালিকা  যদি মুখ খুলে, তাহলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাড়িতে ফিরে এসে প্রথমে মুখ না খুললেও, পরিবারের চাপে মুখ খোলে। গোটা বিষয়টি জানতে পেরে ১০ জুন নন্দীগ্রাম থানায় লিখিতভাবে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পরিবারের দাবি। ডিওয়াইএফআই নেতা ইব্রাহিম আলির অভিযোগ, “এই ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। তাই পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি।”

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তির গ্রেফতারির দাবিতে স্মারকলিপি দেয় ডিওয়াইএফআই। যদিও অভিযুক্ত গ্রেফতার নিয়ে তৃণমূল রাজনীতির রং না দেখে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে অভিযুক্ত বর্তমানে এলাকা ছাড়া।