Nandigram: ‘এই যে শোনো, আমি কুণাল বলছি…’, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে সরগরম নন্দীগ্রামের শহিদ মঞ্চ

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 10, 2022 | 12:31 PM

Nandigram: নন্দীগ্রামে আজ শাসকদলের অনুষ্ঠানে কুণাল ঘোষ এবং বিজেপির কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারী

Nandigram:  এই যে শোনো, আমি কুণাল বলছি..., তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে সরগরম নন্দীগ্রামের শহিদ মঞ্চ
নন্দীগ্রামে কুণাল ঘোষ

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে অপারেশন ‘সূর্যোদয়ের’ ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে জোর টক্কর শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির। কিন্তু তারই মধ্যে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সামনেই বাকযুদ্ধে নামলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। বেলা ১১টার কিছু আগে। কুণাল ঘোষ মঞ্চে আসেন। সেই সময়ে মঞ্চের সামনে চরম উত্তেজনা। তৃণমূল নেতৃত্ব সেখ সুফিয়ান কেন মঞ্চে, তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান পীযুষ ভুঁইয়া মঞ্চে জায়গা পাবেন না কেন, তা নিয়ে কুণালের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। উত্তেজনা থামাতে আসরে নামেন খোদ কুণাল। ব্লক নেতৃত্ব বদল-সহ একাধিক ক্ষোভ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয় এই শহিদ মঞ্চে। বিক্ষোভ থামাতে মাইক হাতে কুণালকে বলতে শোনা যায়, “এই ভাই শোনো, শুনতে পাচ্ছো, আমার দিকে তাকাও। আমি কুণাল ঘোষ বলছি…আমার দিকে তাকিয়ে শোনো…”। কিছুক্ষণের জটিলতার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এদিন সকাল থেকে শহিদ বেদীর সামনে তৃণমূল-বিজেপির গোলমাল চলছিল। চলছিল উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে কয়েক হাত ব্যবধানে মঞ্চ দুই শিবিরের। ভেকুটিয়া থেকে আসা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কর্মীরা পৌঁছতেই তাঁদের ঘিরে বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়।

এরপরই দেখা যায়, বিজেপি যেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, তারই সামনে কয়েকজন শুভেন্দু গো ব্যাক লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এদিনই শুভেন্দুর পদযাত্রা রয়েছে তেখালি ব্রিজ থেকে করপল্লি পর্যন্ত। টান টান উত্তেজনা গোকুলনগরে। পরিস্থিতি সামলাতে তৎপর নন্দীগ্রাম থানা ও জেলা পুলিশ কর্তারা।

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের অপারেশন সূর্যোদয়ের ১৫ বছর পূর্তি হল। পুলিশের খাতায় এখনও নিখোঁজ ১২ জন।  ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বরের  ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে হামলার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। শুভেন্দু সেসময় তৃণমূলে ছিলেন। পরে গত কয়েক বছরে রাজ্য রাজনীতিতে পালা বদল হয়। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পর আলাদা করে এই কর্মসূচি পালন করা শুরু করেন। আগের বারও কুণাল-শুভেন্দুর পৃথক মঞ্চে থেকে ঝামেলা রাজনীতির আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।

Next Article