দিঘা: তিস্তায় হড়পা বানে তছনছ হয়ে গিয়েছে সিকিম। ক্যানসেল হয়েছে সিংহভাগ হোটেলের বুকিং। উত্তরবঙ্গ থেকেও মুখ ফিরিয়েছেন রাজ্য-দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। কিন্তু, উৎসবের আবহে মন ভাল নেই দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র দিঘার। শরতের আকাশ দেখে পুরী হাসলেও ,সৈকত নগরী দিঘার মুখ ভার। হোটল মালিকরা বলছেন এবার তেমন ভিড় নেই। পুজোর ছুটিতে আগাম বুকিংও হাতেগোনা। এদিকে সিকিম বিপর্যয়ের পর হোটেল মালিকরা আশা করেছিলেন মানুষ পাহাড়মুখী না হলেও সমুদ্রে আসবেন ঠিকই। কিন্তু, তাঁদের সেই বাড়া ভাতে ছাই। তবে পুজোর ছুটিতে কিন্তু পুরীতে বাড়ছে ভিড়। কিন্তু, কেন সেখানে দিঘার এই অবস্থা উত্তর নেই কারও কাছেই।
হোটেল মালিকরা বলছেন, গত বছর পুজোর আগেই দিঘার হোটলগুলিতে অগ্রিম বুকিং খুব ভাল ছিল। পঞ্চমী, ষষ্ঠী থেকেই হোটেলগুলিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কিন্তু, এবারে ছবিটা সম্পূর্ণ উল্টো। অল্প কিছু আগাম বুকিং হয়েছে কিছু কিছু হোটেলে। কিন্তু, তাও নাম মাত্র। তাতেই হতাশ হোটেল মালিকরা।
অনেকে আবার এর জন্য আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাকে দুষছেন। কেউ কেউ বলছেন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাতেই ভয় পেয়ে উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষ খুব একটা যেতে চাইছেন না। যদিও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে নিম্নচাপ তৈরি হলেও বাংলায় তার সরাসরি প্রভাব খুব একটা পড়বে না। তবে নবমী ও দশমীকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে দিঘা,শংকরপুরে ছোট বড় মিলিয়ে হোটেলের সংখ্যা প্রায় ১০০০। মন্দারমণি, তাজপুর মিলিয়ে সৈকতের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে হোটেল-লজের সংখ্যা ৭০০-এর বেশি। উদ্বেগের আবহে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি পুজোতে পুরীতে অনলাইন বুকিং ভাল। অনেক হোটেলেই আগাম বুকিং ফুল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখানে তো পুরো উল্টো ছবি। অনলাইন বুকিং নেই বললেই চলে। কিন্তু, গত কয়েক বছরে আমাদের এত হতাশ হতে হয়নি। বড় ছুটির আগে প্রায় সব হোটেলই বুক হয়ে যায়।