Nandigram student self hanging: মা-বাবা চেয়েছিল ডাক্তার হোক, কিন্তু মেয়ে চাইতেন অন্য কিছু…, তারপরই মতবিরোধ, বছর ১৯-এই দীপশিখা বাছল আত্মহত্যার পথ
Nandigram: পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর নাম দীপশিখা মাইতি (১৯)। নন্দীগ্রামের খোদামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন দীপশিখা। দুর্দান্ত সব রেজাল্ট ছিল তাঁর।

নন্দীগ্রাম: মেয়ে বরাবর মেধাবী। বড়-বড় পরীক্ষায় দুর্দান্ত রেজাল্ট করেছেন তিনি। মনে মনে ইচ্ছা ছিল আরও পড়ার। রিসার্চ করার। ভবিষ্যতে গবেষক হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ছাত্রীর এমন পরিণতি হবে কে ভেবেছিল? মা-বাবার কেরিয়ার তৈরি নিয়ে ঝগড়া। মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যা এক মেধাবী ছাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে।
কী ঘটেছে?
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর নাম দীপশিখা মাইতি (১৯)। নন্দীগ্রামের খোদামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন দীপশিখা। দুর্দান্ত সব রেজাল্ট ছিল তাঁর। তিনি ইসরো মহাকাশ গবেষণাতে সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তিনি চাইতেন গবেষক হতে।
এ দিকে, দীপশিখার মা-বাবার মনের ইচ্ছা ছিল মেয়ে বড় চিকিৎসক হোক। তাই ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করুক। তাই নিয়েই মাঝে-মধ্যেই মতবিরোধ লেগে থাকত উভয়ের মধ্যে। নিট পরীক্ষায়ও পাশ করেন দীপশিখা। মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। বাসের সিটও বুক হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তবে সোমবারই নিয়ে ফেললেন বড় সিদ্ধান্ত। রাত-দুপুরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
মৃতের বাবা বলেন, “আমি কালকেও কথা বললাম। বলেছিল গুড নাইট বাবা। সব কথা হল। তারপর ঘুমোতে গেল। আমায় বেশ কয়েকবার মেয়ে বলেছিল যে, ডাক্তারি পরীক্ষায় এরপর কী ভবিষ্যত হবে জানি না। কিন্তু ও যে এমন সিদ্ধান্ত নেবে কে ভেবেছিল? বুঝতে পারিনি।”
