পূর্ব মেদিনীপুর: মহিলাকে বিবস্ত্র করে বস্তায় ভরে গণপিটুনির অভিযোগ। পটাশপুর থেকে অচেতন অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনায় আরও একবার নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাসপুর দুই ব্লকের সাউথখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার আক্রান্ত মহিলার প্রতিবেশী এক বৃদ্ধার সোনার হার চুরি হয়। এই ঘটনায় বৃদ্ধার পরিবার লোকেরা ওই মহিলাকে সন্দেহ করেন। তারপর গ্রামবাসীদের জানান। অভিযোগ, গ্রামবাসীরা ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মহিলা অস্বীকার করলে রাতে গণপিটুনি দেন বলেই অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অচৈতন্য অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আধিকারিকরা নার্সিংহোমে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।
জানা যাচ্ছে, যে বাড়িতে সোনার হার চুরি হয়েছে, সেখানেই আক্রান্ত মহিলার মেয়ে টিউশন পড়তে যায়। রবিবার হওয়ার কারণে সেইদিন তার মেয়ের টিউশন পড়তে যায়নি। ওই দিন বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, তিনিই নাকি সোনার হার চুরি করেছেন। এরপরই অত্যাচার চলে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
গ্রামের প্রধান বলেন, “আমি যতটুকু শুনেছি, এই মহিলা নাকি ওই বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে টিভি দেখছিলেন। তারপর রুট বেলার বেলন দিয়ে ওই বৃদ্ধার মাথায় আঘাত করে সোনার চেন নিয়ে পালায়। পুকুর সাঁতরে ঢোকে ঢোকে। ভিজা কাপড় যে পরনে ছিল, সেটা ওই মহিলার শ্বশুরও বলেন। বাকি মহিলারা তাতেই সন্দেহ করে মারধর করেন। এই বিষয়টাতে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।”