পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামের রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। প্রায় কোটি টাকা। অথচ সেই রাস্তার পিচ পেঁয়াজের খোসার মত হাতে উঠে আসছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে সরব এলাকার লোকজন। তাঁদের বক্তব্য, এত খারাপ মানের কাজ করলে, কাজ করারই দরকার নেই।
অভিযোগ, নন্দীগ্রাম থেকে সাহাপুর যাওয়ার প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা অত্যন্ত নিম্নমানের। গদাইবলবাড় বেরারপুল এলাকায় পিচ ঢেলে রাস্তা সংস্কার হয়েছে। কিন্তু এলাকার লোকেরা রাস্তায় হাত দিতেই রাস্তার পিচ নিমেষে উঠে এল। রাস্তা তৈরির পর পরই রাস্তার পিচ হাতে উঠে আসছে। তাঁদের অভিযোগ, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ১ কোটি টাকার বেশি খরচ করছে। অথচ রাস্তার এমন হাল!
এলাকার লোকজনের কথায়, চার বছর আগে এই রাস্তার কাজের অর্ডার। এতদিন পর সে কাজে হাত পড়েছে। অথচ হাত পড়েছে ভরা বর্ষায়। বৃষ্টি হচ্ছে, তারমধ্যেই পিচের কাজ চলছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, এতটাই খারাপ মানের কাজ হচ্ছে। রাস্তা হাতে উঠে আসছে।
এইচডিএ-র রাস্তার কাজ হলেও নজরদারি নেই কেন? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কোটি টাকায় রাস্তা মেরামতির কাজ হচ্ছে অথচ মান যাচাই করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের দেখা নেই বলেও অভিযোগ। অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই পিচের আস্তরণ উঠে আবার আগের অবস্থায় রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে এসেছে।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও সৌমেন বণিক বলেন, “সমগ্ৰ ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। জেলা কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি।” এইচডিএ-এর ভাইস চেয়ারম্যান শেখ সুফিয়ান বলেন, প্রায় চার বছর আগে ওই কাজের টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থা সময়মতো কাজ শুরু করেনি। তারপর ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার মারা যান। এখন তাঁর ছেলে ওই কাজ করছেন। তবে বর্ষায় কাজের বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।