Post Poll Violence: ‘আগে সিবিআই স্পষ্ট করুক আসামী না সাক্ষী হিসাবে ডাকছে, তারপর যাব’, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অবস্থান স্পষ্ট করলেন আবু তাহের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 07, 2022 | 12:15 PM

Post Poll Violence: সাক্ষী হিসাবে নোটিস পাঠানো হয়েছিল আবু তাহেরকে। যা নিয়েই তৈরি হয় বিভ্রান্তি। ঠিক একইভাবেই সাক্ষী হিসেবে ডেকে আগেও একাধিক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

Post Poll Violence: আগে সিবিআই স্পষ্ট করুক আসামী না সাক্ষী হিসাবে ডাকছে, তারপর যাব, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অবস্থান স্পষ্ট করলেন আবু তাহের
আবু তাহের (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ফোন করে ডেকে টোপ দিয়ে গ্রেফতার করতে চায় সিবিআই। বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল নেতা আবু তাহের। তাই আগাম জামিনের আবেদন করেছেন আবু তাহের। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে আবু তাহেরের আগাম জামিনের আবেদন মামলার শুনানি ছিল। সাক্ষী নয়, অভিযুক্ত হিসেবেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় সিবিআই। বুধবার তাহেরের আগাম জামিনের শুনানি পর্বে এ কথা আদালতকে জানান সিবিআই-র আইনজীবী। তাতেই ক্ষিপ্ত বিচারপতি দেবাংশু বসাক। সিবিআই-কে কার্যত ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

আইনি বিষয়টিকে সঠিকভাবে দেখার নির্দেশ দেন সিবিআইকে। প্রশ্ন করা হয়, অভিযুক্ত হিসেবে তাহেরকে হেফাজতে নিতে চাইলে তাঁকে কেন সাক্ষীর নোটিস দিয়ে তলব করা হয়েছিল। সিআরপিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, কাউকে অভিযুক্ত মনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে তাঁকে ৪১ এ নোটিস দিয়ে ডাকতে হয়। কিন্তু আবু তাহেরকে ১৬০ নোটিস দিয়ে তলব করা হয়েছিল সিবিআই-র তরফে৷

সাক্ষী হিসাবে নোটিস পাঠানো হয়েছিল আবু তাহেরকে। যা নিয়েই তৈরি হয় বিভ্রান্তি। ঠিক একইভাবেই সাক্ষী হিসেবে ডেকে আগেও একাধিক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আর সেই আশঙ্কায় সিবিআই-র ডাকে সাড়া না দিয়ে আগাম জামিনের আবেদন হাইকোর্টের কাছে করেছিলেন তাহের।

যদিও এদিন তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, বিধানসভার ফল ঘোষণার পর দিন অর্থাৎ গত ৩ মে নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় হামলা চালানো হয় এবং অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর জখম হন চিল্লোগ্রামের বিজেপি নেতা দেবব্রত মাইতি।পরে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

সেই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। পরবর্তী সময়ে তাহের-সহ নন্দীগ্রামের মোট ন’জন তৃণমূল নেতাকে ডেকে পাঠায় তারা। এ বিষয়ে তাহের বলেছেন, ‘ সিবিআই-র নোটিসের ত্রুটি দেখে আমি বারবার বলেছি যে, আমাকে সঠিকভাবে জানানো হোক আসামী নাকি সাক্ষী হিসেবে ডাকা হচ্ছে। যার জবাব আমি পাইনি। এর আগে ১২ জনকে সাক্ষী হিসেবে ফোনে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাই আমি সিবিআই-র ডাকে যাওয়ার ভরসা পাইনি। কিন্তু অসহযোগিতা করিনি।” আগাম জামিনের ব্যাপারে পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তাহের।

Next Article