Purbo Medinipur Fraud Case: বেলঘরিয়ার মেয়ের ফোন পূর্ব মেদিনীপুরের প্রৌঢ়কে, ১৫ মিনিটের কথায় স্বপ্ন দেখিয়ে লুঠ মৃদুভাষীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 09, 2023 | 10:45 AM

Purbo Medinipur Fraud Case: রবিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক জামিন নাকচ করে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Purbo Medinipur Fraud Case: বেলঘরিয়ার মেয়ের ফোন পূর্ব মেদিনীপুরের প্রৌঢ়কে, ১৫ মিনিটের কথায় স্বপ্ন দেখিয়ে লুঠ মৃদুভাষীর
ধৃত অভিযুক্তরা

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: একদিন হঠাৎই সন্ধ্যায় ফোন। মৃদুভাষী ও অত্যন্ত নম্র এক মহিলার কন্ঠস্বর। প্রৌঢ়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মেরেকেটে মিনিট পনেরো। প্রলোভন দেখিয়েছিলেন তাঁদেরই বাড়ির ছাদে একটি টাওয়ার বসাবেন। বদলে মাসিক ৬০ হাজার টাকা করে পাবেন সঙ্গে পরিবারের এক সদস্যের চাকরি। এতগুলো সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি প্রৌঢ়। কথা রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনে আরেকবার ফোন। তখন জানানো হয়, টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে প্রৌঢ়কে কিছু টাকা দিতে হবে। নিদানপক্ষে লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই টাকা ‘রিফান্ডেবল’। তাতেও রাজি হয়ে যান। এই ভাবে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়েও দেন প্রৌঢ়। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন তিনি। টাওয়ার বসানোর ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন প্রৌঢ়। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকায়। যদিও সেই চক্রটি এখন  পুলিশের জালে। বড়সড় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানার পুলিশ।

তদন্তে নেমে কলকাতা থেকে ৯ যুবতী-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে মারিশদা থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের নাম রাজকুমার জওসওয়াল, সুতপা পাল, হীরক কান্তি চট্টোপাধ্যায়, মন্টু অধিকারী, প্রতাপ কুমার যাদব, কাজলিকুমারী পাসি, শম্পা শীল, মনিকা শ্রীবাস্তব, মৌসুমী নাগ, তানিয়া ভট্টাচার্য, উমা কুমারী ঠাকুর ও অনুকুমারী সুরজ। রবিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক জামিন নাকচ করে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানার ধান্দালিবাড় এলাকায় সুজিত দাসকে ফোন করেন এক যুবতী। এরপর মোবাইলের টাওয়ার বসাবে বলে বাড়ির মালিক সুজিত দাসকে প্রতিশ্রুতি দেন। তার বিনিময়ে মাসে ৬০ হাজার টাকা করে ভাড়া পাবেন, একজন চাকরি পাবেন। এই প্রতারণা চক্রের পা দেন সুজিত। অভিযোগ, এটা পেতে গেলে কিছু টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেন ওই যুবতী। দফায় দফায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেন সুজিত দাস। এরপর প্রতারিত হয়েছে ভেবে ১৫ অক্টোবর মারিশদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ৯ মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে। এই চক্র আর কাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Next Article