ভূপতিনগর: শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর (Bhupati Nagar Blast)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার ঠিক আগের রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এমন বিস্ফোরণের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এদিকে বিস্ফোরণের পর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণের সময় বাড়িতে কোনও মহিলা ছিল না বলেই পুলিশের বক্তব্য।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা বাড়ির মধ্যেই বোমা ফেটে বিস্ফোরণটি হয়ে থাকতে পারে। বাইরে থেকে আক্রমণের কোনও তথ্য পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূল বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, লালু মান্না, বিশ্বজিৎ গায়েনের দেহ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতিকদের আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালাও শুরু হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থানা এলাকার একটি বাড়িতে বোমা ফেটে গোটা বাড়িটিই বিস্ফোরণে কার্যত উড়ে গেল। তাহলে কি এই বোমার বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনও খবর ছিল না? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভূপতিনগর থানার পুলিশের বক্তব্য, এলাকা মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। বোমা মজুতের কোনও খবর পুলিশের কাছে ছিল না। পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা অখিল গিরি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় মিছিল করার সময় বোমবাজির ঘটনা ঘটেছিল। এলাকাবাসীদের একাংশও বলছেন, বোমাবাজি নাড়ুয়াবিলা অঞ্চলে রোজদিনের ঘটনা। সেদিক থেকে স্থানীয় পুলিশের বক্তব্য ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ উদ্ধারের পর কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে তমলুক জেলা হাসপাতালে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য রেফার করা হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের ঘটনা হওয়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেও হতে পারে ময়নাতদন্ত।