রামনগর: পরিচয় হীন ও মুন্ডুহীন বস্তাবন্দী মহিলার খণ্ডিত দেহ উদ্ধার হয়। রামনগর থানার অন্তর্গত এই ঘটনার কেটে গিয়েছে প্রায় ছ’দিন। তবু বসন্তপুর এলাকায় মহিলার মুন্ডুহীন খণ্ডিত দেহের পরিচয় এখন উদ্ধার করতে পারেনি এখনো পুলিশ। শুধু পরিচয় নয়, এলাকায় ড্রোন ও পুলিশ কুকুর দিয়ে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েও মেলেনি কাটা মাথা, হাত ও পায়ের খোঁজ। জেলার একাধিক থানায় খোঁজ চালিয়েও কোনও সূত্র মেলেনি বলেই খবর। যে কারণে উদ্ধার হওয়া মহিলা দেহ বহিরাগত বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, অজ্ঞাত পরিচয় নিহত মহিলা পড়শী রাজ্য উড়িষ্যার বাসিন্দা হতে পারে । পুলিশের এই অপারেশন কিনারা করার জন্য এবার একটু বাঁকা চোখে খোঁজার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। ওড়িশা, বর্ধমান জেলার তান্ত্রিকদের শরণাপন্ন হয়েছে তারা সূত্রের খবর। এই ঘটনার পিছনে তান্ত্রিক যোগ রয়েছে কি না সেই সন্ধানে দেহের ছবি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট জায়গা গুলিতে বলে খবর।
এই বিষয়ে কাঁথি মহকুমার উপকূল এলাকার দায়িত্বে ডিএসপি ডি অ্যান্ড টি, আবুনুর হোসেন জানান, “নিহত মহিলার পরিচয় ও কাটা মাথা হাত ও পায়ের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সব ধরনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। আশাকরা যায় খুব তাড়াতাড়ি রহস্যের কিনারা করা সম্ভব হবে।”
যদিও স্থানীয় বসন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম জানা বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে পড়শি রাজ্য ওড়িশার দুরত্ব খুব জোর তিন থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার হবে। সেই কারণে আমাদের অনুমান দুষ্কৃতীরা ওড়িশার হতে পারে। প্রমাণ লোপাট ও পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্যে দেহ বর্ডার পেরিয়ে রাতের অন্ধকারে শ্মশানে যাওয়ার রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে যেতে পারে। এটা অসম্ভব কিছু নয়। বাকিটা পুলিশ তদন্ত করছে।”
মৃতদেহ উদ্ধার করলেও কাটা মাথা ,ডান পা ও বাঁ হাতের কোনও খোঁজ এখনো পায়নি পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর স্থানীয় খাল,পুকুর ,ঝোপঝাড়ে চিরুনি তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি পুলিশ কুকুর দিয়ে ও ড্রোন উড়িয়ে এলাকায় তল্লাশি চালালে লাভ কিছু হয়নি এখনো।