পূর্ব মেদিনীপুর: খেজুরি থানায় ঢুকে পুলিশকে ‘হুঁশিয়ারি’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আক্রমণ হলে খেজুরি বন্ধ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। খেজুরি পুলিশের উপর হামলা ও বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বাটুল দাস-সহ একাধিক বিজেপি কর্মী সর্মথককে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে খেজুরি বিদ্যাপীঠ থেকে জনকা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দু। এরপরই খেজুরি থানায় হাজির হন তিনি।
এদিন শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামের মণ্ডল প্রেসিডেন্টকে তুলেছে। আপনার আইও এখন বিপদে আছেন। কোর্টে টানাটানি করছে। বাটুল দাসকে যা করেছেন, তার ফলও ভুগতে হবে বলে দেবেন।” এক পুলিশ কর্মীর দিয়ে এগিয়ে গিয়ে শুভেন্দু নিজের দিকে আঙুল তুলে বলেন, “লিডার অব অপোজিশন। ২ কোটি ২৮ লক্ষ লোকের প্রতিনিধি।”
তিনি আরও বলেন, “খেজুরি থানার ওসি পালিয়েছেন। খেজুরিতে শুধু পুলিশের অত্যাচার আছে। আমরা বুঝে নেব। মিথ্যা মামলা করলেই তার জন্য বিচার ব্যবস্থা আছে। আমরা লড়তে জানি।” এদিনই আবার বিজেপির সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে খেজুরির জনকা থেকে কয়ালচক -সহ এলাকায় বাইক মিছিল করে তৃণমূল। কয়ালচকে একটি পথসভাও করে তারা। বিজেপির হাতে তৃণমূলের কর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে আহতদের দেখতে যান জেলা পরিষদ সভাধিপতি ও বিধায়ক উত্তম বারিক।
অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল চরমে। নজর ঘোরাতেই শুভেন্দু এসব কথা বলছেন। খেজুরিতে বাইরে থেকে আসা লোকেরা গোলমাল করছেন। ওখানে পুরনো বিজেপির অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তাই শুভেন্দু বাইরে থেকে লোক নিয়ে গোলমাল করছেন।”