কাঁথি: সোমবার বেরিয়েছে চার পৌরসভার নির্বাচনের ফলাফল। আর তাতে বিরোধীদের একেবারে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। ফলত ভালো ফল হওয়ায় বর্তমানে যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী ঘাসফুল শিবির। তবে এত তাড়াতাড়ি হাল ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবিরও। তাই বাকি পুর ভোটে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই সমানে-সমানে মাঠে নেমে পড়েছে।
মঙ্গলবার পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডে বাড়ি-বাড়ি প্রচার অভিযান শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। এলাকার বাসিন্দাদের বিজেপির পদ্মফুল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানান অধিকারী পুত্র। এই পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস। সোমবার বিকেলে প্রচার চালানোর সময় অরূপ কুমার দাসের সঙ্গে থাকা কয়েকজন বিজেপি সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
এরপর এদিন সকাল থেকেই ১০ নং ওয়ার্ড সহ বেশ কিছু ওয়ার্ডে হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের পুরোনো এলাকা ঘুরতে-ঘুরতে খোঁজ খবর নেন তিনি। বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে প্রচার অভিযান চালান। কাঁথির রামকৃষ্ণ মিশনে পুজো দেন। তারপরেই সেখান থেকে বেরিয়ে এসেই একাধিক বাড়িতে প্রচার চালান শুভেন্দু অধিকারী।
প্রচার শেষে শুভেন্দু বলেন, “যেখানে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করবে, সেখানে আমরা যাবো। এখান থেকে কোচবিহার পর্যন্ত আমি আছি পাশে, ভোট গণনা শেষ রাউণ্ড পর্যন্ত আমরা থাকব। মানুষ ভোট দিলেই বিজেপি জিতবে। বিধান নগরে আমি তালিকা করেছি, ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাদেরকে দিয়ে হাইকোর্টে মামলা করবো।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “কাঁথি পুরসভা বলে শুধু নয়, সব জায়গাতেই ভোটারদের ধমক দেওয়া হচ্ছে। পুরভোটে কেন্দ্র বাহিনী দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা করেছি। আজকে শুনানি রয়েছে। প্রয়োজনে উচ্চ আদালত পর্যন্ত যেতে রাজি আছি।”
এরপর গতকাল আশুতোষ কলেজের ঘটনা টেনে এনে বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওরা ছাত্র নয়,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা দেন ওদের এমন গুণ্ডামির জন্য।”
আরও পড়ুন: Tapas Banerjee: ‘১০ মিনিট ছাপ্পা তো হতেই পারে’ পুরভোট নিয়ে কী বোঝাতে চাইলেন তৃণমূল বিধায়ক?