AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ১০ বছরের কারাদণ্ড যুবকের

নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাচিন্দা মন্দিরে নিয়ে যায় ওই যুবক। সেখানে বিয়ে না করে সোজা সিনেমা হলে নিয়ে আসে। সেখানে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। তার পর নাবালিকাকে নিয়ে দিঘার একটি হোটেলে যায় সে। সেখানেও নাবালিকাকে চারদিন ধরে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ১০ বছরের কারাদণ্ড যুবকের
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2023 | 10:59 PM
Share

তমলুক: ৮ বছর আগে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকায় ঘটেছিল সেই ঘটনা। ওই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে শনিবার সাজা ঘোষণা করল তমলুক জেলা আদালত। অভিযুক্ত যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলের সাজার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।

আদালত সূএে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ভূপতিনগরে বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে মারিশদা থানা এলাকার বাসিন্দা ১৭ বছরের নাবালিকার আলাপ হয়। এরপর ওই নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাচিন্দা মন্দিরে নিয়ে যায় ওই যুবক। সেখানে বিয়ে না করে সোজা সিনেমা হলে নিয়ে আসে। সেখানে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। তার পর নাবালিকাকে নিয়ে দিঘার একটি হোটেলে যায় সে। সেখানেও নাবালিকাকে চারদিন ধরে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নাবালিকা-সহ তার পরিবারে সদস্যরা বিয়ের কথা বললে এড়িয়ে যায় ওই যুবক এবং তার পরিবারের সদস্যরা। বাধ্য হয়ে ওই যুবতীর পরিবার ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর মারিশদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মারিশদা থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলার রুজু করে। তদন্তের নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তবে পরে আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান অভিযুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই মামলা শেষমেশ গড়ায় তমলুক জেলা আদালতে। সেখানকার বিচারক রীণা দাস শনিবার এই শাস্তির ঘোষণা করেছেন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী অস্মিতা দাস বলেছেন, “সাক্ষ্য এবং প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। নাবালিকা পরিবারের সদস্যরা ন্যায় বিচার পেল।”