পূর্ব মেদিনীপুর: দুর্নীতিতে নাম জড়ালো রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী পরিচালিত পৌর বোর্ডের বিরুদ্ধে। গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে বড়সড় গরমিল ধরা পড়েছে। ফলত রাজ্য সরকার নির্দেশ দেয় জেলা প্রাশাসনকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য। জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেত আগরওয়াল, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানব সিংহলের নেতৃত্বের কমিটি তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ একমাস ধরে চলে সেই তদন্ত।
রাজনীতি ও দুর্নীতি যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাসক হোক বা বিরোধী প্রত্যেকেরই নাম জড়িয়েছে । জানা গিয়েছে, তৎকালীন সৌমেন্দু অধিকারী প্রচলিত বোর্ডের কাছে হিসেব নেই কয়েক কোটি টাকার। শহরের এক বাসিন্দা পল্লব দত্তের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার পুরসভার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসার সমীর দে এবং বর্তমান অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চুয়ানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪০৯, ৪৭৭/এ ও ১২০/ বি আই পি সি ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুধু এই দু’জন নয় এরা ছাড়াও অনেকে রয়েছেন আরও বেশ কিছু ঠিকাদার, বেশ কিছু প্রাক্তন কাউন্সিলররাও।
অভিযোগ গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পে সৌন্দর্যায়ন ও পথবাতি বসানোর জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল সেই টাকার কাজ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, কম সংখ্যক পথবাতি বসানো হয়েছে শহরে। তছরূপ হয়েছে কোটি টাকার। অভিযোগ, খতিয়ে দেখতে শহরের একাধিক ওয়ার্ডে এই পথবাতির সংখ্যা নির্ধারণ ও চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করে তদন্ত কমিটি। তাতেই দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে এবং সেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুরসভার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসার সমীর দে এবং বর্তমান অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চুয়ানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানবকুমার সিংলা।
ঘটনার ব্যাপারে কাঁথির পুর-প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারী বলেন, “একমাস ধরে দুর্নীতির তদন্ত হয়েছে। আমি তাতে সহযোগিতা করেছি। প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। তারই ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সৌমেন্দ্যু অধিকারী সে সময় পুরসভায় চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে দুর্নীতির মাথা কে, তা অজানা নয় আমাদের। তাই কান টানলে যে মাথার হদিশ মিলবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।” এই বিষয়ে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দ্যু অধিকারী সহ দুর্নীতির মামলায় নাম জড়ানো পুরসভার প্রাক্তন আধিকারিক ও বর্তমান ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন করলে তাঁরা কেউ ফোন ধরেননি।পাশাপাশি গোটা বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতাদের ফোন করার পর সভাপতি থেকে সম্পাদক কারোরই কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Ashoknagar TMC Worker: বিধায়কের মুখে লাল আবির, দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে ফ্লেক্স শুদ্ধিকরণ তৃণমূল কর্মীদের!