কলকাতা: শীত হোক বা গরম, সাম্প্রতিক সময়ে বাঙালির প্রিয় ভ্রমণ ডেস্টিনেশনের মধ্যে একেবারে উপরের দিকে ঠাঁই করে নিয়েছে দিঘা। সেই দিঘাতেই পরপর লাগছে কলঙ্কের দাগ। কদিন আগেই দিঘা থেকে উদ্ধার হয়েছিল কাটামুন্ডু। এবার উঠেছে গণধর্ষণের অভিযোগ। শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও। প্রশ্ন উঠেছে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে। চিন্তায় স্থানীয় হোটেল মালিক থেকে গাড়ি চালক সকলেই। তড়িঘড়ি বৈঠকে প্রশাসন।
সব সময়ই লাখো লাখো মানুষের আগানগোনা দিঘায়। ছোট কয়েকটা ঘটনা ছাড়া তেমন কোনও বিতর্ক বাঙালির প্রিয় ডেস্টিনেশনকে নিয়ে ছিল না। ছোট, বড়, গরিব, বড়লোক, সবার জন্য মনের দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে দিঘা। কিন্তু, সেই দিঘাতেই গণধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল গোটা রাজ্যে। সস্তায় হোটেল পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্নের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা।
উন্নতির নিরিখে দিঘা কিন্তু রোজই বদলাচ্ছে একটু একটু করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। ঢেলে সাজানো হচ্ছে দিঘাকে। কিন্তু, সাজসজ্জার আড়ালে নিরাপত্তার ব্যাপারে কতটা নজর রয়েছে? দিঘার সৈকত অঞ্চল দু’টি থানায় বিভক্ত। একটি দিঘা থানা। অন্যটি দিঘা মোহনা থানা। দুই থানা মিলিয়ে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা প্রায় দেড়শ। দিঘায় হোটেলের সংখ্যা প্রায় ১২০০। পরিসংখ্য়ান বলছে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটক আসেন দিঘায়। সপ্তাহান্তে সংখ্যাটা বেড়ে হয়ে যায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার প্রতিদিন। এত মানুষকে সামলানোর জন্য ১৫০ জন পুলিশকে যে রীতিমতো বেগ পেতে হয় তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু, চলছিল এভাবেই। কিন্তু, এবার দিঘার গায়ে লেগেছে কলঙ্কের দাগ। তাই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসছে প্রশাসন। এদিকে কিছুদিন পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে আদলে তৈরির মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আকর্ষণ আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু, তার আগে এ ঘটনা শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের চোখ কতটা খুলে দেয় সেটাই দেখার।