মহিষাদল: ফের রাজ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা। বুধবার সকালে ফের বাজ পড়ে মৃত্যু হল দু’জনের। আহত আরও দু’জন। ঘটনাটি ঘটেছে মহিষাদল থানার বাঁকা এলাকায়।মৃতদের নাম সমীর পাল (৩২) ও বিশ্বনাথ ভুঁইঞা (২৯)। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মিলন ভুঁইঞা এবং শেখ ফারুক। আজ সকালে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তখনই আচমকা বজ্রপাত হওয়ায়, মাঝ নদীতেই মৃত্যু হয় দু’জনের।
জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে রূপনারায়ণ নদীতে জাল নিয়ে মাছ ধরছিলেন তাঁরা। সেই সময় বাজ পড়ে গুরুতর আহত হন চারজন। পরে স্থানীয় মানুষদের নজরে আসে ঘটনাটি। উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন তাঁরা। দেখা যায়, ততক্ষণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু’জন তখন আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মহিষাদল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তমলুক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মৃত ও আহতরা প্রত্যেকেই তাঁর পরিচিত। এরা পেশায় মৎস্যজীবীও ছিলেন না। সম্ভবত শখেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এ দিন। খুব ভোরেই তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যান সোজা রূপনারায়ণে। প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান, তিনি হঠাৎই দেখেন দু’জন ব্যক্তি চীৎকার করতে করতে ছিটে আসছে। তখন কাছে গেলে বুঝতে পারেন মাজ নদীতেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। নৌকা করে তাঁদের দেহ পাড়ে নিয়ে আসা হয়।
ভারী বৃষ্টি বজ্রপাতের সময়ে যাতে মাঠে কেউ কাজ না করেন, রাস্তায় না বের হন, খোলা আকাশের নীচে, কিংবা গাছ নীচে বা টালির বাড়িতে আশ্রয় না নেন। এই বিষয়টি বারবার সচেতন করা হচ্ছে। বশ্য জুনেই বৃষ্টির সময়ে কংক্রিটের ছাদের তলায় থেকেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: রাজ্য সভাপতির পদ নেই, বাংলায় দলের হয়ে এবার ঠিক কোন দায়িত্বে দিলীপ? স্পষ্ট করলেন নিজেই
গত জুন মাসে সেই একই দিনে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় ২৭ জনের। তাঁদের মধ্যে হুগলিরই বাসিন্দা ছিলেন ১১ জন, ৯ জন মুর্শিদাবাদের, ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায়, নদিয়া মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয় রাজ্য সরকারও।
দিন দুয়েক আগে বাঁকুড়া জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় এক যুবকের। আহত হন আরও ৫ জন। নৌকোয় চেপে বাড়ি ফেরার সময়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় এক যুবকের। গুরুতর আহত হন ওই নৌকার তিন মাঝি-সহ আরও দু’জন।