নন্দকুমার: পূর্ব মেদিনীপুরের আরও দুই সমবায়ের নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত হল বিরোধীরা। রবিবার নন্দকুমারের শ্যামসুন্দরপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি ও পাঁশকুড়ার মঙ্গলদাঁড়ি ইউনাইটেড কৃষি উন্নয়ন সমিতির ডিরেক্টর নির্বাচনে যথাক্রমে ১০ ও ৭ আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। শ্যামসুন্দরপুর সমবায়ের ১২ আসনে নির্বাচনে লড়াইয়ে ছিলেন মোট ২৬ জন প্রার্থী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই দিতে আসন সমঝোতা করে এখানে প্রার্থী দিয়েছিল বাম ও বিজেপি। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন তৃণমূল, বাম-বিজেপি জোট ও নির্দলের ২ জন-সহ মোট ২৬ জন প্রার্থী। ৯৯০ জন ভোটারের মধ্যে এদিন ভোট পড়ে ৯০ শতাংশ। আর বিকেলে ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায় তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ১০ টি আসনে এবং ২ টি আসনে জোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে মঙ্গলদাঁড়ি ইউনাইটেড কৃষি উন্নয়ন সমিতিতেও ১২টি আসনে নির্বাচন হয়। তৃণমূলের ১২, বামদের ১২ , বিজেপির ১১ জন এবং নির্দলের ৩ জন মিলে মোট ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সেই নির্বাচনে। ৭৫০ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়ে ৬৯৫ টি। বিকেলে ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায় ৭ আসনে তৃণমূল, ৪ আসনে বাম ও ১ টি আসনে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। একই দিনে দুই সমবায়ে জিতে কার্যত উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির।
এ প্রসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, “দুটি সমবায় দখলের লক্ষ্যে জনমতকে প্রভাবিত করতে প্রকাশ্য এবং গোপন আঁতাত করেছিল বিরোধীরা। যা ভাল চোখে নেননি মানুষ। তৃণমূলের হাত শক্ত করে ভোটে তার জবাব দিয়েছেন।” যদিও এই ফলাফল নিয়ে বামফ্রন্ট এবং গেরুয়া শিবিরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । যদি সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব আগেই জানিয়ে দিয়েছে, নীতি বড়। তাই বিজেপির সঙ্গে জোট করা যাবে না। প্রয়োজনে নিচুতলায় জোটে উদ্যোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।