পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা (TMC Candidate List) ঘিরে বিক্ষোভ চরমে। একদিকে যখন ভুয়ো তালিকা ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। অন্যদিকে, তালিকায় প্রার্থীদের নাম দেখে নির্বাচনি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ফের নিজের মত প্রকাশ করলেন অখিল। জানালেন, দলের উচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনেই তিনি পদক্ষেপ করবেন। সরস্বতী পুজোর সকালেই বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী সমর্থক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। তখনই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, দলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন হয়, সেই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন অখিল গিরি। কিন্তু শুক্রবার তালিকা দেখেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। সুব্রত বক্সিকে ফোন করে কমিটি থেকে পদত্যাগ করার কথা জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বাছাই করা নাম বাদ দিয়ে সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা নেতাদের দেওয়া হয়েছে টিকিট। ‘দাদার অনুগামী’ বলে পরিচিত, ‘দাদার’ সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন নেতাকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
শনিবার সকালেও যে সকল কর্মী সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁদের অভিযোগ, পুরপ্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারীকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, বদলে যাকে প্রার্থীপদ দেওয়া হয়েছে তিনি নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ এবং বিজেপিত্যাগী কর্মী। মোটা অর্থের বিনিময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকবে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও মত প্রকাশ করবেন না তিনি। এমনকী, সুব্রত বক্সীকে তিনি ফোন করে জানিয়েছেন কমিটি থেকে পদত্যাগ করছেন না অখিল। তবে, দলের সিদ্ধান্ত নতুন করে বিবেচনা করার আবেদনও করেছেন তিনি।
শুক্রবার, প্রথম তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ে অশান্তি। সেই তালিকায় দেখা যায়, নাম রয়েছে অতনু গিরি, দিলীপ কুমার মাইতি ও তরুণ কুমার বেরার। ৭, ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টিকিট পেয়েছেন তাঁরা। অতনু ও তরুণ কয়েক দিন আগেই পদ্ম শিবির থেকে তৃণমূলে ফিরেছিলেন। আর দিলীপ ফেরেন শুক্রবার সকালে। অতীতে জোড়াফুল শিবিরে ছিলেন এঁরা। পরে দলবদল করেন।
যখন তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ চলছে, তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানান, তাঁর বাছাই করা নামে অনুমোদন মেলেনি। মন্ত্রীর অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন নেতার নামও রয়েছে তালিকায়। তিনি বলেন, ‘আমি যে তালিকা পাঠিয়েছি। সেই তালিকায় অনুমোদন দেয়নি। এখনও বিজেপিতে আছে এমন ১-২ জনের নাম এই তালিকায় আছে। দাদার অনুগামী হিসেবে যারা চিহ্নিত ছিল, এখনও যাদের দাদার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, তাঁরা এই প্রার্থী তালিকায় কী ভাবে জায়গা পেল আমি জানি না। আমি এই তালিকা দেখে মর্মাহত।’ তাই কমিটি থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, ওই কমিটিতে ছিলেন উত্তম বারিক। তাঁর হাত ধরে সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা বেশ কয়েকজন নেতা টিকিট পেয়েছেন বলে অভিযোগ। যাঁরা অখিল গিরির পছন্দের তালিকায় ছিলেন না। তাঁর পাঠানো নাম তালিকায় নেই বলেই দাবি মন্ত্রীর। আর সেই কারণেই ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। তবে সংশোধিত তালিকায় এই নামগুলো বাদ পড়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা (TMC Candidate List) ঘিরে বিক্ষোভ চরমে। একদিকে যখন ভুয়ো তালিকা ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। অন্যদিকে, তালিকায় প্রার্থীদের নাম দেখে নির্বাচনি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ফের নিজের মত প্রকাশ করলেন অখিল। জানালেন, দলের উচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনেই তিনি পদক্ষেপ করবেন। সরস্বতী পুজোর সকালেই বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী সমর্থক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। তখনই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, দলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন হয়, সেই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন অখিল গিরি। কিন্তু শুক্রবার তালিকা দেখেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। সুব্রত বক্সিকে ফোন করে কমিটি থেকে পদত্যাগ করার কথা জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বাছাই করা নাম বাদ দিয়ে সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা নেতাদের দেওয়া হয়েছে টিকিট। ‘দাদার অনুগামী’ বলে পরিচিত, ‘দাদার’ সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন নেতাকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
শনিবার সকালেও যে সকল কর্মী সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁদের অভিযোগ, পুরপ্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারীকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, বদলে যাকে প্রার্থীপদ দেওয়া হয়েছে তিনি নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ এবং বিজেপিত্যাগী কর্মী। মোটা অর্থের বিনিময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকবে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও মত প্রকাশ করবেন না তিনি। এমনকী, সুব্রত বক্সীকে তিনি ফোন করে জানিয়েছেন কমিটি থেকে পদত্যাগ করছেন না অখিল। তবে, দলের সিদ্ধান্ত নতুন করে বিবেচনা করার আবেদনও করেছেন তিনি।
শুক্রবার, প্রথম তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ে অশান্তি। সেই তালিকায় দেখা যায়, নাম রয়েছে অতনু গিরি, দিলীপ কুমার মাইতি ও তরুণ কুমার বেরার। ৭, ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টিকিট পেয়েছেন তাঁরা। অতনু ও তরুণ কয়েক দিন আগেই পদ্ম শিবির থেকে তৃণমূলে ফিরেছিলেন। আর দিলীপ ফেরেন শুক্রবার সকালে। অতীতে জোড়াফুল শিবিরে ছিলেন এঁরা। পরে দলবদল করেন।
যখন তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ চলছে, তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানান, তাঁর বাছাই করা নামে অনুমোদন মেলেনি। মন্ত্রীর অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন নেতার নামও রয়েছে তালিকায়। তিনি বলেন, ‘আমি যে তালিকা পাঠিয়েছি। সেই তালিকায় অনুমোদন দেয়নি। এখনও বিজেপিতে আছে এমন ১-২ জনের নাম এই তালিকায় আছে। দাদার অনুগামী হিসেবে যারা চিহ্নিত ছিল, এখনও যাদের দাদার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, তাঁরা এই প্রার্থী তালিকায় কী ভাবে জায়গা পেল আমি জানি না। আমি এই তালিকা দেখে মর্মাহত।’ তাই কমিটি থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, ওই কমিটিতে ছিলেন উত্তম বারিক। তাঁর হাত ধরে সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা বেশ কয়েকজন নেতা টিকিট পেয়েছেন বলে অভিযোগ। যাঁরা অখিল গিরির পছন্দের তালিকায় ছিলেন না। তাঁর পাঠানো নাম তালিকায় নেই বলেই দাবি মন্ত্রীর। আর সেই কারণেই ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। তবে সংশোধিত তালিকায় এই নামগুলো বাদ পড়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা